চিকেন বিরিয়ানি – ব্রততী রায়
উপকরণ-
1) বাসমতী চাল 500 গ্রাম,
2) দেশি চিকেন (লেগ পিস) 500 গ্রাম, আলু ও হাঁসের ডিম।
3) বিরিয়ানি মশলার জন্য পরিমাণ মত জায়ফল, জয়িত্রী, সাজিরে, সামরিচ, শুকনো গোলাপ পাপড়ি, বড় এলাচ, ছোট এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ।
4) গোলাপ জল, কেওড়ার জল, মিঠা আতর, কেশর ও দুধ।
দুটো পেঁয়াজ, গাওয়া ঘি ও সাদা তেল, পরিমাণ মত লবণ, সামান্য চিনি এবং খোয়া।
প্রণালী-
1) চাল দু ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
2) মশলাগুলো গুঁড়ো করে রাখতে হবে।
3) একটা পরিষ্কার কাপড়ে গোটা মশলা পুটলি করে বেঁধে নিতে হবে।
4) এবার ডেকচিতে জল ফুটতে দিতে হবে, ফুটে উঠলে চালের জল ঝরিয়ে ফুটন্ত জলে ছেড়ে দেব আর দেব ওই পুটলিটা, যাকে বলি আকনি।
5) ভাত একটু শক্ত থাকতে পরিমাণ মত লবণ দিয়ে ফুটে উঠলে একটা ঝুড়িতে ঢেলে দিতে হবে।
6) এবার চিকেনটা আদা, রসুন, দই, সামান্য লবণ দিয়ে ম্যারিনেট করা আছে ঘণ্টার দুয়েক। কড়াইয়ে পরিমাণ মত সাদা তেলে আগে চাকা চাকা করে কেটে রাখা পেঁয়াজগুলো বাদামি করে ভেজে তুলে রাখতে হবে। একে বরিস্তা বলে।
7) এবার আলুও ডিম সেদ্ধ করে, আলু ছাঁকা তেলে ভেজে তুলে রাখতে হবে।
8) তারপর পরিমাণ মত তেলে ম্যারিনেট করা চিকেনটা কষতে হবে। সামান্য চিনি ও কাশ্মীরী লঙ্কা দিয়ে কষে যেতে হবে। তেল ছেড়ে এলে অল্প বিরিয়ানি মশলা দিয়ে কষিয়ে নামিয়ে রাখতে হবে।
9) এবার ডেকচিতে গাওয়া ঘি ছড়িয়ে দিতে হবে। একটু উষ্ণ গরম দুধে এক চিমটি কেশর ভিজিয়ে রাখা আছে। ঘি গরম হলে এক প্রস্থ ভাত বিছিয়ে দিতে হবে। আঁচ কম করে রাখতে হবে। এবার ভাতের পরত সাজিয়ে তার ওপর আলু, চিকেন ও ডিম সাজিয়ে খোয়া গুঁড়ো এবং কেশর চামচে করে ডেকচির ধারে ধারে ছড়িয়ে দিতে হবে। এরপর বিরিয়ানি মশলাটা ওই পরতের ওপর অল্প ছড়িয়ে দিতে হবে। ঘি চার পাশে আবার দিতে হবে। আরেক পরত ভাত দিয়ে আবার আগের পদ্ধতিতে আলু, চিকেন, ডিম , মশলা, খোয়া, কেশর সব একভাবে সাজিয়ে দিতে হবে। শেষ পর্বে ঘি ছড়িয়ে এক ফোঁটা মিঠা আতর, কেওড়ার জল এক টেবিলচামচ, গোলাপ জল দু টেবিল চামচ আর বাকি কেশর ও খোয়াটা ছড়িয় দিয়ে পেঁয়াজের বরিস্তাটা ওপরে সাজিয়ে দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে। মাখা আটার লেই দিয়ে একদম এঁটে দিতে হবে। যাতে ঘ্রাণ বেরিয়ে না যায় এবং দমে রান্না হয়। গ্যাস হাই করে বার চারেক ডেকচিটা ঝাঁকিয়ে দিতে হবে। আবার ফ্লেম লো করে মিনিট দশেক পর আঁচ বন্ধ করে দিলেই রেডি হয় গেল চিকেন বিরিয়ানি।
খেয়ে বলুন কেমন লাগল।
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (একাদশ কিস্তি)বৃষ্টির শুরুতেই সামান্য ঠান্ডা পড়তে শুরু করলো। ক্লাবে লোক আসা একটু কমলো। বিকেলে ব্যাডমিন্টন খেলতে…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (দশম কিস্তি)(৮) শিফট ডিউটি আরম্ভ হতেই জীবনটা জীবিকার প্রয়োজন মাত্র হয়ে দাঁড়াল। অদ্ভুত সময়ে ঘুম থেকে…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (নবম কিস্তি)আমাদের পুরো ব্যাচটাকে কয়েকটা ছোট ছোট দলে ভাগ করা হলো। আমাদের দলে আমি, কর, সিং…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (অষ্টম কিস্তি)আমার মুখে হাসির ছোঁয়া দেখে বিপদভঞ্জন দুঃখ দুঃখ মুখ করে জিজ্ঞেস করল, ‘ছেড়ে দিলো?’ ‘কান…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (সপ্তম কিস্তি)নিকলের নিয়োগপত্র বার পাঁচেক খুঁটিয়ে পড়ে নিশ্চিন্ত হয়ে, আমার টুইডের কোটটা গায়ে দিয়ে অফিসে গেলাম।…