কাশ্মীরি রুই – ঐশ্বর্য্য চ্যাটার্জী
মধ্যবিত্ত বাঙালি মাসের শেষ, তাই সংসারে এখন অনেক জিনিষ বাড়ন্ত। পোস্ত অবস্থাও তাই।কিন্তু রবিবার বলে কথা একটু ভালো খেতেই হবে তাই বাড়ির গাছের নারকেল পাওয়া গেল, ঘরে পাতা দই ছিলো। বেশ এই নিয়ে লেগে পরলাম রাঁধতে।
উপকরণ:-
1)রুই মাছ চাকা করে কাটা 4 টুকরো।
2) 2 টো পেঁয়াজ বাঁটা।
3) 6টি কাঁচা লঙ্কা আর এক কোয়া রুসুন বাঁটা।
4)হাফ মালা নারকেল বাঁটা।
5)50 গ্রাম টক দই ফেটানো।
6)4 টা গোটা কাঁচা লঙ্কা।
7)হলুদ গুঁড়ো।
8)গোটা জিরা।
9)ছোট এলাচ 2-3 টে।
10)তেজ পাতা 2 টো।
11)সরিষার তেল।
12)নুন।
13)চিনি।
পদ্ধতি:-
প্রথমে কড়াইতে তেল দিয়ে মাছগুলো ভালো করে ভেজে নিতে হবে। তারপর কড়াইয়ের মধ্যে অল্প তেল দিয়ে তাতে বেঁটে রাখা পেঁয়াজ, লঙ্কা-রুসুন বাঁটা দিয়ে নেড়ে নিতে হবে, তারপর কড়াইতে অল্প গোটা জিরা, তেজপাতা, হলুদ দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে, গ্যাসের আঁচ কম থাকবে। এবার নারকেল বাঁটা কড়াইতে দিয়ে, তার সাথে নুন, মিষ্টি, 2টো কাঁচা লঙ্কা পরিমাণ মতো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার 2 কাপ মত জল দিয়ে, ভেজে রাখা মাছগুলো কড়াইতে দিতে হবে।মাছ গুলো ভালো করে মিশিয়ে 2-3 মিনিট রান্না করার পর ফেটিয়ে রাখা টক দই কড়াইতে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। 2 টো ছোট এলাচ থেঁতো করে উপরে ছড়িয়ে দিয়ে, গ্যাস বন্ধ। রান্না তৈরি একদম খাবার জন্য। আমি এলাচ থেঁতো দিয়েছি গরম মশলা বাড়ন্ত বলে আপনারা দিতে পারেন।
কিন্তু সমস্যা হলো নাম কি দেব, মা বললো দই নারকেল রুই বাহারি। আমি ভাবলাম এত বড় নাম আর নামের মধ্যেই উপকরণ চলে আসছে। তাই মাকে বললাম এই নামে হবে না, এর নাম দিলাম কাশ্মীরি রুই।আজ দুপুরে ভাতের সাথে জমে গেছে একদম।
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (একাদশ কিস্তি)বৃষ্টির শুরুতেই সামান্য ঠান্ডা পড়তে শুরু করলো। ক্লাবে লোক আসা একটু কমলো। বিকেলে ব্যাডমিন্টন খেলতে…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (দশম কিস্তি)(৮) শিফট ডিউটি আরম্ভ হতেই জীবনটা জীবিকার প্রয়োজন মাত্র হয়ে দাঁড়াল। অদ্ভুত সময়ে ঘুম থেকে…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (নবম কিস্তি)আমাদের পুরো ব্যাচটাকে কয়েকটা ছোট ছোট দলে ভাগ করা হলো। আমাদের দলে আমি, কর, সিং…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (অষ্টম কিস্তি)আমার মুখে হাসির ছোঁয়া দেখে বিপদভঞ্জন দুঃখ দুঃখ মুখ করে জিজ্ঞেস করল, ‘ছেড়ে দিলো?’ ‘কান…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (সপ্তম কিস্তি)নিকলের নিয়োগপত্র বার পাঁচেক খুঁটিয়ে পড়ে নিশ্চিন্ত হয়ে, আমার টুইডের কোটটা গায়ে দিয়ে অফিসে গেলাম।…