রান্নাঘরে বিশ্বরূপ দর্শন ৭
Bloody mutton
ব্লাডি মাটন – বিশ্বরূপ ঘোষ দস্তিদার
দেখতে দেখতে সপ্তম পর্বে পৌঁছে গেলাম। আজ আরেকটি আমিষ রান্না করবো একটি বিশেষ সব্জি দিয়ে যাকে আমরা বলি বীট। শুরুতে এর ব্যবহার শিখেছে কানাডা, আমেরিকা ও ব্রিটেনের লোকেরা। ব্রিটিশদের হাত ধরে এটি আমাদের দেশে এসে বাঙালির পাতে উঠেছে ঊনবিংশ শতাব্দীতে। মেসোপটেমিয়া ও মিশরে এটির শাক খাওয়া হতো। এর গোড়াটাও যে খাওয়া যায় সেটি জানার পর লালবীট, হলুদ বীট প্রভৃতি খাদ্য হিসেবে ইউরোপে জনপ্রিয় হলো। আমরা বাঙালিরা এই সব্জিটি শাকের ঝোলে, বীট কুড়িয়ে ভেজে প্রথম পাতে ও মিক্সড ভেজিটেবলের মধ্যে খেয়ে থাকি। বীটের রস একসময় ওয়াইনের রং করতে ব্যবহার হতো। বীট রুটে নানা প্রয়োজনীয় ভিটামিন থাকে।
আজ আমি রান্না করবো এটির রস দিয়ে ভেড়ার মাংস। শহরের অনেক দোকানেই আজকাল ভেড়ার মাংস পাওয়া যায়। বাঙ্গালিদের বরাবরের প্রিয় এই মাংস। ভেড়ার মাংসের বিরিয়ানি, বাঙালী মাত্রেই প্রিয়। তাহলে আর দেরি না করে চলো বানিয়ে ফেলি বীটের রস দিয়ে ভেড়ার মাংস – ব্লাডি মাটন।
ব্লাডি মাটন
উপকরণ :-
★ ভেড়ার মাংস ১ কেজি
★ আদা বাটা ৩ চামচ
★ রসুন বাটা ২ চামচ
★ পেঁয়াজ বাটা ১কাপ
★ গরম মশলা গুঁড়ো ১ চামচ
★ কাঁচা লঙ্কা বাটা
★ টমেটো বাটা
★ সর্ষের তেল
3 টে মাঝারি সাইজের বীটের রস করে নাও মিক্সিতে। মাংস ধুয়ে কড়াইতে তেলের মধ্যে ছাড়ো। সাদা হয়ে এলে আদা রসুন বাটা দাও।নাড়তে থাকো। লবণ দাও। টমেটো পিউরী ঢেলে দাও।নাড়তে থাকো। পেঁয়াজ বাটা দিয়ে লঙ্কা কুচি দিয়ে বীটের রস দিয়ে দাও। মুখ বন্ধ করে প্রেসারে ৫টা সিটি দিয়ে হাওয়া বেরিয়ে গেল মুখ খুলে স্বাদ চেখে গরম মশলা দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নাও।
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (একাদশ কিস্তি)বৃষ্টির শুরুতেই সামান্য ঠান্ডা পড়তে শুরু করলো। ক্লাবে লোক আসা একটু কমলো। বিকেলে ব্যাডমিন্টন খেলতে…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (দশম কিস্তি)(৮) শিফট ডিউটি আরম্ভ হতেই জীবনটা জীবিকার প্রয়োজন মাত্র হয়ে দাঁড়াল। অদ্ভুত সময়ে ঘুম থেকে…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (নবম কিস্তি)আমাদের পুরো ব্যাচটাকে কয়েকটা ছোট ছোট দলে ভাগ করা হলো। আমাদের দলে আমি, কর, সিং…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (অষ্টম কিস্তি)আমার মুখে হাসির ছোঁয়া দেখে বিপদভঞ্জন দুঃখ দুঃখ মুখ করে জিজ্ঞেস করল, ‘ছেড়ে দিলো?’ ‘কান…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (সপ্তম কিস্তি)নিকলের নিয়োগপত্র বার পাঁচেক খুঁটিয়ে পড়ে নিশ্চিন্ত হয়ে, আমার টুইডের কোটটা গায়ে দিয়ে অফিসে গেলাম।…