বিলুপ্ত বেলা – ক্ষমা ভট্টাচার্য্য

জল সবুজ আর ঘাস সবুজ
সবুজ জলের তিস্তা
জলফরিঙ্গের কানাকানি
টাপুর টুপুর বর্ষা।
ওখানে মেঘের কাজল মুছে যায় ধোঁয়াশায়-
তবু তো তোমার আলগা সবুজ আছে
ভিক্টোরিয়া ঘিরে-আশপাশ নিংড়ানো নদী, বিছানো নুড়ি পথ ধরে!
আমার সবুজ ভেতরে বাস করে –
জলছাপ পায়ে …
ধীরে,অতি ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে অতল সবুজ জলে – বোজা চোখ কি খোঁজে! শালিকের হালকা পালক – জলশামুকের নরম শরীর ডুবসাঁতার ভুঁস করে ভেসে ওঠা পানকৌড়ির ঠোঁটে জলতলের খবর – জল আল্পনায় আঁকা ঘুমন্ত রাজকন্যার লুকোনো ব্যথা – চলন্ত সূর্যের লুকোচুরি – ইতিউতি নদী কিনারের খয়ে যাওয়া পাথরের নবীন ভাস্কর্য – জলের ওপর নুয়ে পড়া কচি ডালের আলতো ছোঁয়ায় চিবুক চুম্বনে নেশার ঘোর – স্বপ্নে মিলেমিশে একাকার। শুরুবেলার করমচার পাতার আড়ালে গুঁটি পোকার শ্বাস – খালি পায়ে কচুরিপানার জাল ছিঁড়ে জল সিঙ্গারার হাপিত্যেশ খোঁজ -সে এক সবুজ দেশের হারিয়ে যাওয়ার অফুরন্ত সুখ গল্প।
ঘনিয়ে আসা সন্ধ্যায় ঝিঁঝিঁর ঝিমঝিম গান -বাঁশ এর ডালের কড়ুলের ডগায় চাঁদ গলে পরে নরম শরীরে আদর মাখাতে – কাঁঠালের ছায়ায় কচি ঘাসের মুখ চুবিয়ে নিশ্চিন্ত বাস। পচা ডোবার কানি জলে ঝোপঝাড়ে হলুদ সোনা ব্যাঙ ব্যাঙনি গলা ফুলিয়ে গলা সাধে স রে গা মা পা -পা হড়কে যায় এক বাঁশের সাঁকো পেরোতে – কলাগাছ ঘুম চোখে আগামী আশ্বিনে বউ হবার খোয়াব দেখে। সবুজ পাতা হলুদ হয় আগমনী গেয়ে।
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (ষষ্ঠ কিস্তি)বম্বেতে গিয়ে জীবনে প্রথম কোনও নারীর কাছ থেকে বাংলায়, ‘আমি (তোমাকে) ভালবাসি’ শুনলাম। মেয়েটির মারাঠী,…
- ঋতুযান উৎসব সংখ্যা ১৪৩০ উদ্বোধন অনুষ্ঠান
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (পঞ্চম কিস্তি)(৪) এন. টি-র চাকরিতে আমার কলকাতার বাইরে প্রথম ট্যুর এলো, আহমেদাবাদ আর বম্বে। সব মিলে…
- ব্যোমকেশ – অজিতের মেসবাড়িমহাত্মা গান্ধী রোডের ৬৬ নম্বর বাড়িটিকে প্রেসিডেন্সি বোর্ডিং হাউস নামে পরিচিত।এই বোর্ডিং হাউসটি ২০১৭ সালে…
- রবি ঠাকুরের মূর্তি – স্ট্র্যাটফোর্ড আপঅন অ্যাভনদেবব্রত সান্যাল : উইলিয়াম শেক্সপিয়রের জন্মস্থানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি দেখে অবাক ও খুশি হলাম। রবীন্দ্রনাথ…