বিলুপ্ত বেলা – ক্ষমা ভট্টাচার্য্য

0
silhouette of mountains

জল সবুজ আর ঘাস সবুজ 

সবুজ জলের তিস্তা

জলফরিঙ্গের কানাকানি

টাপুর টুপুর বর্ষা।

ওখানে মেঘের কাজল মুছে যায় ধোঁয়াশায়-

তবু তো তোমার আলগা সবুজ আছে

ভিক্টোরিয়া ঘিরে-আশপাশ  নিংড়ানো নদী, বিছানো নুড়ি পথ ধরে!

আমার সবুজ ভেতরে বাস করে –

জলছাপ পায়ে …

ধীরে,অতি ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে অতল সবুজ জলে – বোজা চোখ  কি খোঁজে! শালিকের হালকা পালক – জলশামুকের নরম শরীর ডুবসাঁতার ভুঁস করে ভেসে ওঠা পানকৌড়ির ঠোঁটে জলতলের  খবর  –  জল আল্পনায় আঁকা ঘুমন্ত রাজকন্যার লুকোনো ব্যথা – চলন্ত সূর্যের লুকোচুরি – ইতিউতি  নদী কিনারের খয়ে যাওয়া পাথরের নবীন ভাস্কর্য – জলের ওপর নুয়ে পড়া কচি ডালের আলতো ছোঁয়ায় চিবুক চুম্বনে নেশার ঘোর – স্বপ্নে মিলেমিশে একাকার। শুরুবেলার     করমচার পাতার আড়ালে গুঁটি পোকার শ্বাস – খালি পায়ে কচুরিপানার জাল ছিঁড়ে জল সিঙ্গারার হাপিত্যেশ খোঁজ  -সে এক সবুজ দেশের হারিয়ে যাওয়ার অফুরন্ত সুখ গল্প।

ঘনিয়ে আসা সন্ধ্যায়  ঝিঁঝিঁর ঝিমঝিম গান -বাঁশ এর ডালের কড়ুলের ডগায় চাঁদ গলে পরে নরম শরীরে আদর মাখাতে – কাঁঠালের ছায়ায় কচি ঘাসের মুখ চুবিয়ে নিশ্চিন্ত বাস। পচা ডোবার কানি জলে ঝোপঝাড়ে হলুদ সোনা ব্যাঙ ব্যাঙনি গলা ফুলিয়ে গলা সাধে স রে গা মা পা -পা হড়কে যায় এক বাঁশের সাঁকো পেরোতে – কলাগাছ ঘুম চোখে  আগামী আশ্বিনে  বউ  হবার খোয়াব দেখে। সবুজ পাতা হলুদ হয় আগমনী গেয়ে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!