কামারের মুটে মজুরের কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র – দেবব্রত সান্যাল

বেনারসে আমাদের বাড়িটা ছিল অওধ গরবীতে। মনে আছে বাবা কাছেই একটা বাড়ি দেখিয়ে বলেছিলেন, জানিস এখানে প্রেমেন্দ্র মিত্রর জন্ম হয়েছিল। ওই বাড়িটা ওঁর দাদু স্বর্গীয় রাধারমন ঘোষের। সময়টা উনিশ শো চার সালের অগাস্টের শেষ বা সেপ্টেম্বরের শুরুর কোনও এক মঙ্গলবারে।
যুক্তরাজ্য হলে এই বাড়ির দেয়ালে একটা ব্লু প্লাক থাকতো। যেমন সেন্ট্রাল লন্ডনে রবীন্দ্র ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তি আছে। হ্যামস্টেড হিথের যে বাড়িতে কবি থাকতেন তার দেয়ালে কবির কথা লেখা আছে। আঠেরো শো আটাত্তরে ব্রিগটনের যে স্কুলে পড়েছেন তার দেয়ালেও কবির নামে ব্লু প্লাক আছে। ওরা দুশো একুশের বি বেকার স্ট্রিট বানিয়ে ফেলেছে, কিন্তু আমরা বাহাত্তর নম্বর বনমালী নস্কর লেনের বাড়িটি খুঁজে পেলাম না।
পিতার পূণর্বিবাহের কারণে শৈশবে মাতৃহারা প্রেমেন্দ্র মিত্রর শৈশব কেটেছে দাদু দিদিমার সাথে। রেলের ডাক্তার দাদুর সাথে ঘুরে বেরিয়েছেন পূর্ব ভারতের নানা জায়গায়। সেই সময়ে বাংলার সাথে ইংরেজি ও হিন্দির শিক্ষা নিলেন। দাদুর মৃত্যুর পর নলহাটির এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে স্থানীয় মাইনর স্কুলে ভর্তি হলেন। কলকাতা আসার পর সাউথ সাবার্বান স্কুলে ক্লাস এইটে ভর্তি হলেন। সেই সময়কার তাঁর স্কুলের বন্ধু অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তর স্মৃতি চারণায় পাই, “ সমস্ত ক্লাসের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল, সবচেয়ে সুন্দর, সবচেয়ে অসাধারণ।”
 
ছাত্র প্রেমেন্দ্রকে কবিতা লেখার প্রেরণা দিলেন স্কুলের ব্যতিক্রমী শিক্ষক রণেন পন্ডিত। উনিশশো সতেরো সালে প্রেমেন্দ্র, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের কবিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে হিমালয় নামে একটি কবিতা লেখেন। রণেন পন্ডিতের প্রশংসা ও উৎসাহে প্রেমেন্দ্রর কবিতায় অভিষেক হলো। বন্ধু অনাথবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায় উৎসাহিত করলেন রবীন্দ্র সাহিত্যে। রবীন্দ্র ভাবনাকে প্রসারিত করে প্রেমেন্দ্র লিখলেন, “এ আমার, এ তোমার, এ সর্বমানবের পাপ।
দেবতার আলো করি চুরি,
অন্ন রাখি কেড়ে, শাস্তি তাই যায় বেড়ে দিনে দিনে।”
শিক্ষা জীবনে প্রেমেন্দ্র অনেক কিছু শিখতে চেয়েছিলেন। শিখলেন কিন্তু প্রথাগতভাবে শিক্ষা সম্পূর্ণ করলেন না। ম্যাট্রিকে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে স্কটিশ চার্চে কলেজে ভর্তি হলেন কিন্তু কিছুদিন পর শ্রীনিকেতন চলে গেলেন কৃষিবিদ্যা শিখতে। আবার ফিরে এলেন কলকাতায়। ভর্তি হলেন সাউথ সাবার্বান কলেজে (আশুতোষ কলেজ)। এই সময় সান্নিধ্য পেলেন কবি বিমল চন্দ্র ঘোষের। একবার তাঁর সাথে ঢাকা গিয়ে বইয়ের সম্ভারে মুগ্ধ হয়ে সেখানেই রয়ে গেলেন। বিজ্ঞান পড়তে ভর্তি হলেন জগন্নাথ কলেজে। কিন্তু ডাক্তার হবার ইচ্ছে সফল হলো না। কলকাতায় আসতে হলো জীবিকার প্রয়োজনে। এই খামখেয়ালিপনা তাঁর কর্মজীবন জুড়ে রইলো। বহু কাজ নিয়েছেন ও ছেড়ে দিয়েছেন। একবার নাকি এক ট্রাঙ্ক বই নিয়ে ঝাঁঝায় চলে গিয়েছিলেন “এই শান্ত নিরুপদ্রব পরিবেশের মাঝে প্রকৃতির সঙ্গে মধুর একটি ঘনিষ্ঠতা স্থাপনের সাথে নিজেকে ভালো করে উপলব্ধি” করতে। তখন তাঁর মনে হয়েছিল “এরচেয়ে বড় লক্ষ্য জীবনে আর কিছু হওয়া উচিত নয়।” কিন্তু এতে জীবন চলে না। তাই ফিরে এসে অনেকরকম কাজ নিলেন। শিক্ষকতা, ব্যবসা, রিসার্চ অ্যাসিস্টেন্ট, পত্রিকার সম্পাদকতা কত কী। সাংস্কৃতিক জীবনে হয়ে উঠলেন বহুমুখী। ছায়াছবির কাজ নিয়ে তিনবছর বোম্বাইবাসী হন, আকাশবাণীর পূর্বাঞ্চলের উপদেষ্টাও ছিলেন।
সাহিত্য জীবন শুরু করেছিলেন গল্পকার হিসেবে। উনিশশো বত্রিশ সালে প্রকাশিত তাঁর কাব্য গ্রন্থ প্রথমার অগ্রজ তাঁর তিনটি গল্পের বই, ‘পঞ্চশর’, ‘বেনামী বন্দর’ আর ‘পুতুল ও প্রতিমা’। ঔপন্যাসিক, গল্পকার, কবির সাথে তাঁর পরিচিতি চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে কম নয়।
কবি প্রেমেন্দ্র মিত্রর কবি হিসাবে আবির্ভাব প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবক্ষয়ের আবহে। তখন প্রবাসীর দাপটের সামনে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে কল্লোল, কালি কলম, সংহতি আর প্রগতি। নজরুল প্রবাসীকে প্রকৃষ্ট রূপে বাসি মনে করে ধূমকেতু হয়ে আবির্ভূত ছড়িয়ে দিলেন তাঁর উচ্ছ্বসিত আবেগ। গবেষক জঃ সরোজমোহন মিত্র বলেছেন, “সেই সময়ে দেখা দিল রবীন্দ্রপ্রচ্ছন্নতা সত্ত্বেও রবীন্দ্র বিচ্ছিন্নতা। এটাই তখনকার আধুনিকতা। প্রেমেন্দ্র মিত্র রবীন্দ্র অবিমুখতা সত্ত্বেও আধুনিকতার পুরোহিত হয়ে দেখা দিলেন।”
লিখলেন,
“মাটি মাগে ভাই হালের-আঘাত,
               সাগর মাগিছে হাল,
পাতালপুরীর বন্দিনী ধাতু
               মানুষের লাগি কাঁদিয়া কাটায় কাল,
দুরন্ত নদী সেতুবন্ধনে বাঁধা যে পড়িতে চায়,
               নেহারি আলসে নিখিল মাধুরী
                               সময় নাই যে হায় !”
(আমি কবি যত কামারের – “প্রথমা”-)
 
নিখিল কুমার নন্দী মহাশয় কবির সম্পর্কে লিখেছেন, “আমাদের কাছে আজ কবির যা প্রধান আকর্ষণ তা হলো তাঁর নির্বিকল্প সত্যসন্ধানী মানবমুখিতা ও তত্ত্বলেশহীন বাস্তববাদী এক অভিনব আধ্যাত্মিকতা। সহজ সাধন ও বৈষ্ণবকবিতার দেশে রবীন্দ্রকালে লালিত এই রক্তাক্ত কবিচিত্ত আজন্ম নিগূঢ়তত্ত্ববাদী ও অন্তরঙ্গ স্বরূপ সন্ধানী।”
কবির দ্বিতীয় কবিতার বইটি বের হলো উনিশশো চল্লিশে, সম্রাট। চব্বিশটি মৌলিক কবিতার সাথে রইলো, ছ’টি অনুবাদ কবিতা।
সম্রাটের মূল ভাবনায় ছড়িয়ে আছে, রোমান্টিকতা আর আধুনিক সভ্যতার প্রতি শ্রদ্ধাহীনতা।
“জানি — পামের চারার মধ্যে সংগোপন আছে অরণ্য ;
কাঠের টবে একদিন তাকে ধরবে না !
কাঠের টুলে নিঃসঙ্গ জনতা আছে থেমে
স্তব্ধ হ’য়ে ;
একদিন তার স্থানুত্ব যাবে ঘুচে।
শুধু কাঠের সিঁড়ি
কোনোদিন পৌঁছবে না আকাশে।”
( কাঠের সিঁড়ি- সম্রাট)
 
সাগর থেকে ফেরা কবির সফলতম কাব্য গ্রন্থ। প্রকাশিত হয়েছিল উনিশ শো ছাপান্ন সালে। প্রথমার কবি এখানে সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের ছবিও তুলে ধরেছেন। আর অন্য দিকে লিখেছেন দ্বন্দ সংক্ষুদ্ধ অবস্থা থেকে উত্তরণের কথা।
“একদিন যেও না হারিয়ে
চেনা মুখ শহর ছাড়িয়ে
                    অজানা প্রান্তরে
একটি শিমূল আর আকাশ যেখানে
                   মুখোমুখি চায় পরস্পরে।”
( হারিয়ে – সাগর থেকে ফেরা)
উনিশ শো আটান্ন সালে কবি ফিরে আসেন ফেরারী ফৌজ এ। বইটিতে মোট তেত্রিশটি কবিতা আছে, যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম বর্ণনা করেছেন।
 
“এখনো ফেরারী কেন?
ফেরো সব পলাতক সেনা।
সাত সাগরের তীরে।
ফৌজদার হেঁকে যায় শোনো।
আনো সব সূর্য-কণা
রাত্রি-মোছা চক্রান্তের প্রকাশ্য প্রান্তরে।

– এবার অজ্ঞাতবাস শেষ হলো ফেরারী ফৌজের।” ( ফেরারী ফৌজ)
 
এরপরের কাব্যগ্রন্থ অথবা কিন্নর বেয়াল্লিশটি বিখ্যাত কবিতার স্বচ্ছন্দ অনুবাদ। প্রকাশিত হয়েছে উনিশশো পঁয়ষট্টি সালে। “অনেক কবিতায় নির্জন মনের রহস্য রূপায়িত হয়েছে। কিছু কবিতায় শাশ্বতবোধ প্রকাশ পেয়েছে।”
 
“সে মুখ যার পড়েছে চোখে ঘরে-ই থাকে যায় না সেও বনে,
বসত করে পাঁচিল ঘিরে, হিসেব করে পুঁজি যা আছে ভাঙায়।
       তবুও কোন হতাশ হাওয়া একটা ছেঁড়া ছায়া
       তারার ছুঁচে সেলাই ক’রে রাত্রি জুড়ে টাঙায়।
               কার সে ছায়া, কার ?
               প্রাণেশ্বরী পরমা যন্ত্রণার।”
( মুখ – অথবা কিন্নর)
 
পরের বই কখনো মেঘ প্রকাশিত হলো উনিশো একষট্টির বাইশে শ্রাবণের দিনে। আটত্রিশটি কবিতা সম্বলিত এই বইয়ের চারটি কবিতায় আছেন রবীন্দ্রনাথ। সমালোচকদের মতে, “ কবি প্রেমেন্দ্রর মানস দিগন্তে শুভ অশুভের দ্বন্দ বর্তমান। অমঙ্গলবোধ তাঁর চেতনায় নিহিত। তাই বিভিন্ন স্থানীক প্রতীক ও চিত্র সংযোগে সেই অশুভের বর্ণনা তাঁর এই কাব্যে পরিবেশিত হয়েছে।”
 
“আছ প্রাণের পরম ক্ষুধায়,
নয়ন শ্রবণ ভরা সুধায়,
এই জীবনের প্রতি পাতায়
       নিত্য তোমার সই থাকে।
দিয়েছ সুর দিলে ভাষা
আকাশলোভী বিরাট আশা।
প্রণাম লহ মুগ্ধ মনের
       আজ পঁচিশে বৈশাখে।”
( পঁচিশে বৈশাখ – কখনো মেঘ)
 
নদীর নিকটে বইটি ১৯৬৮-৭০ সালের পশ্চিমবঙ্গের যুব বিক্ষোভের প্রকাশ।
তখন “ এ শহর প্রাণ বেগে অস্থির উদ্দাম।”
নদীর নিকটে এসে কবি চিরকালের কবিতা লিখতে চাননি, লিখতে চেয়েছেন “হারিয়ে যাবার, ভুলে যাবার মুছে যাবার, মুহূর্তের পরমায়ু নিয়ে নিশ্চিহ্ন হবার “ কবিতা।
অনুবাদ কবিতায় প্রেমেন্দ্র মিত্র অত্যন্ত সাবলীল।
“যৌবন এমনি করে হেলায় করে তুচ্ছ
জরা আর তার আঁচলের গেরো।
এমনি করে বসন্তে
নবাঙ্কুর আসে বেরিয়ে। ( রুশ কবিতা)
উনিশো ষাট সালের প্রথমে প্রকাশিত হয় হরিণ চিতা চিল। “ আধুনিক সভ্যতার যন্ত্রণাময় রূপ কবি চেতনায় বিধৃত। তাই কবি তিনটি প্রতীক হরিণ, চিতা এবং চিলের সাহায্যে ক্ষিপ্রতা, তিক্ততা ও শোচনা এবং রহস্যসন্ধান প্রকাশ করেছেন।”
বইটিতে চারটি চীনা কবিতার তর্জমা আছে যার কবির নামের উল্লেখ নেই।
“হে পৃথিবী, কোথায় যাব? ক্লান্ত
আকাশে চাই, সেখানে উদ্ ভ্রান্ত।
আমার মন গহন বন ফুরায় না।
 
অতল থেকে নাম-না-জানা তৃষ্ণা,
মিটাতে যা পান করেছি বিষ না।
তবুও শাপ বুকের তাপ জুড়ায় না।”
( চীনা তর্জমা- হরিণ চিতা চিল)
 
আজকাল প্রেমেন্দ্র মিত্রর কথা উঠলে শুনতে হয়
প্রেমেন্দ্র মিত্র? ঘনাদা লিখতেন?
ঘনাদার অপরিমিত কল্পনার উৎসও প্রেমেন্দ্র মিত্রর অনুসন্ধিৎসু বিজ্ঞানমনস্ক কবি মন
“এ মাটির ঢেলা কবে কে ছুড়িল সূর্যের পানে ভাই
পৃথিবী যাহার নাম
লক্ষ্যভ্রষ্ট চিরদিন সে যে ঘ্বুরিয়া ঘুরিয়া ফেরে
সূর্যেরে অবিরাম”
প্রেমেন্দ্র মিত্র জীবনে অনেক পুরষ্কার পেয়েছেন। গল্পকার হিসাবে কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শরৎ স্মৃতি পুরষ্কার, সাগর থেকে ফেরার জন্য অ্যাকাডেমি আর রবীন্দ্র পুরষ্কার, ভুবনেশ্বরী পদক, মৌচাক, আনন্দ পুরষ্কার, সোভিয়েত দেশ নেহরু পুরষ্কার, রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার, বিদ্যাসাগর পুরষ্কার, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সান্মানিক ডি.লিট, জগত্তারিণী পদক ও পদ্মশ্রী খেতাব – তালিকাটি দীর্ঘ।
মানুষ হিসাবে প্রেমেন্দ্র ছিলেন সদালাপী সদাহাস্যময়, বন্ধুবৎসল। শিবরাম চক্রবর্তী বলেছিলেন, প্রেমেনের মতো মিত্র হয় না।
উনিশশো একষট্টি সালে প্রেমেন্দ্র মিত্রর শেষ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হলো নতুন কবিতা।
প্রথমার কবির ছয় দশক কবিতা যাপনের ধারাবাহিকতা রয়ে গেলো সাত চল্লিশটি কবিতায়। আশার কথা শোনা গেলো,
“একটা অন্ধ অমারাত
হয়তো হতে পারে কিছু
জ্যোৎস্নায় মদির।” ( সকাল)
দিনরাত্রি কবিতায় ভাবনা আরও তীক্ষ্ণ,
“সত্তার নাভি-চক্রের আবর্তে
তখনই বিদীর্ণ হতে পারে
সৃষ্টি গর্ভ সে আদি নীহারিকা
অনাগত ভবিষ্যের শিৎকার-শিহরণে।”
বিদেশী কবিদের মধ্যে মার্কিন কবি ওয়াল্টার হুইটম্যানের প্রভাব প্রেমেন্দ্র মিত্রর ওপর ছিল। এই প্রভাব প্রথমা থেকে ফেরারী ফৌজ অবধি প্রতীয়মান। কবি হুইটম্যানের কবিতা নামে একটি অনুবাদ কাব্যগ্রন্থও লিখেছিলেন।
বেশি কিছু গান জনপ্রিয় গান লিখেছেন ছায়াছবির জন্য।
“ঠোঁটের কোণে হাসি বুঝি, নয়ন-কোণে জল !
শরৎ-প্রাতের আকাশ যেন শিশির-ঝলমল।”
তাঁর কিছু পংক্তি প্রবাদের মতো অমর হয়ে আছে,
“হৃদয়ে কি জং ধরে/ পুরানো খাপে।” (জং)
বা “মৃত্যুর মৌতাতে বুঁদ হয়ে গেছি সব, / রমণী ও মরণেতে ভেদ নাই ! (নীলকণ্ঠ)
 
রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, আধুনিকতা সময় নিয়ে নয়, মর্জি নিয়ে। এই মর্জির নিরিখেই প্রেমেন্দ্র মিত্র আধুনিক কবিতার পুরোধা, যিনি মানুষের মনে সুর লাগানোর কাজ করে গিয়েছেন।
উনিশশো অষ্টআশি সালের ৩ মে প্রেমেন্দ্র মিত্র চলে গেলেন।
“মৃত্যু জীবনের শেষ সার আবিষ্কার / আর/ শিব নীলকন্ঠ !”

( ঋণ – আধুনিক বাঙলা কবিতার রূপরেখা-ডঃ বাসন্তীকুমার মুখ্যোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র কবি ও উপন্যাসিক- ডঃ রামরঞ্জন রায়, বাঙলা কাবো পাশ্চাতা প্রভাব-ডঃ উজ্জ্বল কৃমার মজুমদার, ডঃ সরোজমোহন মিত্র, মিলন সাগর) 

Our Visitor

0 1 5 1 4 8
Users Today : 10
Users Yesterday : 17
Users Last 7 days : 105
Users Last 30 days : 467
Users This Month : 324
Users This Year : 4604
Total Users : 15148
Views Today : 12
Views Yesterday : 26
Views Last 7 days : 158
Views Last 30 days : 838
Views This Month : 534
Views This Year : 6941
Total views : 23526
Who's Online : 0
Your IP Address : 3.147.62.99
Server Time : 2024-11-21
error: Content is protected !!