আপন ঘর – মৌটুসী মিত্র গুহ
চৌকাঠ পেরোলেই হয়ে যায়
বাপের বাড়ি,
সামনে অজানার ভিড়ে শ্বশুর বাড়ি
আর নিজের বাড়ি?
বড়ো অস্বস্তিকর ও তুলনামূলক কঠিন প্রশ্ন
আর পাঁচজনের মতো
খুব সাধারণ মেয়েটির কাছে!
আর যদি সে হয় “দেখতে নারি”
সোজা হেঁটে গেলেও তার
“চলন বাঁকা”ই থাকে সারাটা জীবন ধরে!
দোষারোপের ঘেরাটোপে সব ভুলের দায়ভারও যে
তাকেই বইতে হয় আজীবন!
সমাধানের বৃথা চেষ্টা না করে
ভাগ্যের ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়াটা
অনেক বেশি সহজ!
আর পাঁচ জন সুখে থাকে যদি…
তাদের পরিচয় সৌভাগ্যবতী!
মা-বাবাও পর হয়ে যায় রাতারাতি
যদি কখনও মেলে অনুমতি
শৈশব আর কৈশোরের মাটিতে
তার পরিচয়…অতিথি!
না! কষ্টের কথা মুখ ফুটে বলতে নেই
ইচ্ছে হলেই যেমন খুশি চলতে নেই,
লক্ষ্মী হওয়াই লক্ষ্য যখন অলক্ষ্মীপনা করতে নেই!
আপন যদি নাও ভাবে কেউ
সবাইকে আপন করে নিতে হয়,
যখন যেখানে যেমন ঠিকানা
তাকেই আপন ভাবতে হয়!
মাথার ‘পরে মুক্ত আকাশ
পায়ের নীচে মাটি,
এইখানে মেয়ের আপন ঠিকানা
আজীবন পরিপাটি…
মা ও মাটির ভালোবাসা এই জগতে খাঁটি!