ভারতে করোনা রূপ বদলাচ্ছে দ্রুত
ওয়েবডেস্ক : করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে মহাবিপর্যয় নেমে এসেছে ভারতজুড়ে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লাখ ৪৬ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছে, যা বিশ্বের সব দেশের রেকর্ড ভেঙে একদিনে সংক্রমণের নতুন রেকর্ড। এছাড়া এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ২৬০০ মানুষের।
কেন ভারতে এত দুর্বার গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। জানা গেল নেপথ্যের কারণ। আসলে ভারতে শনাক্ত করোনার নতুন ধরন বি ওয়ান সিক্স ওয়ান সেভেন ভাইরাসটি প্রতিনিয়ত রূপ পাল্টাচ্ছে।
দ্রুত রূপ পরিবর্তনের ফলে এই ভাইরাসটির চরিত্র নির্ধারণে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে গবেষকদের। নতুন ধরনের বিরুদ্ধে বিশ্বে বিদ্যমান করোনার টিকাগুলো কার্যকার হলেও অধিক কার্যকারিতার জন্য টিকায় কিছু সংযোজন প্রয়োজন বলছেন বিজ্ঞানীরা।
ভারতে করোনার নতুন ধরন বি ওয়ান সিক্স ওয়ান সেভেন ভাইরাসটি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, দ্রুত পরিবর্তন করছে তার রূপ। এর মধ্যে কিছু ভাইরাস আছে যেগুলো কম বিপজ্জনক।
কিন্তু কিছু ভাইরাস আবার খুবই সংক্রামক, অনেক সময় টিকা নিয়েও এসব ভাইরাস মোকাবেলা কঠিন এমন তথ্য দিচ্ছে বিভিন্ন গবেষণা । গত বছরের অক্টোবরে শনাক্ত হওয়া ভাইরাসটি ভারতে ডেকে এনেছে মহাবিপর্যয়।
যেই গতিতে ভারতে এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে সে গতিতে সম্ভব হচ্ছে না করোনা টেস্ট। ফলে খুবই অল্প সময়ে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক মানুষ।
দ্য জিএসএআইডির তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি। ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ১০৩ জনের শরীরে শনাক্ত হয় এই ভাইরাস, এর বেশিরভাগই ভারত থেকে আসা যাত্রী।
যুক্তরাজ্যে পাওয়া করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে। তবে এটি ভারতে পাওয়া ভাইরাসসের তুলনায় বেশি সংক্রামক কিনা এই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে বিজ্ঞানীদের।
জনবহুল ভারতে কম সময়ে দ্রুত ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, ভারতে বড় ধরনের জমায়েত, ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার অভাবে বেড়েছে সংক্রমণ।
বিশেষ করে মাস্ক না পরা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে না চলায় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনা পরিস্থিতি। তবে বিজ্ঞানীদের ধারণা যুক্তরাজ্যে পাওয়া বিওয়ান ওয়ান সেভেন ভাইরাসটির চেয়ে এটি কম সংক্রামক হতে পারে।
বিশ্বে বিদ্যমান টিকাগুলো করোনার নতুন ধরন নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে এমনটাই বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের। তবে নতুন ধরনের ভাইরাসের বিরুদ্ধে অধিক কার্যকারিতার জন্য টিকার ডিজাইনে কিছু পরিবর্তান আনা প্রয়োজন হতে পারে এমন তথ্য দিচ্ছে নেচার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন। ভারতে করোনার ডাবল মিউট্যান্ট ভাইরাস নিয়ে গবেষণার মধ্যেই শনাক্ত হয়েছে ট্রিপল মিউট্যান্ট ভাইরাস।