ভালোবাসার ডাকঘর ৩ – ঐশ্বর্য্য চ্যাটার্জী
প্রিয়,
আমার পাঁচমেশালী জীবন এক রকম ছন্দে কেটেকুটে যাচ্ছিল। তুই আসাতে অন্য রকম হয়েছিল সব।তখন আমাদের সন্ধ্যা গুলো জমজমাট কাটতো বল?
সারাদিন অফিসে বসে অপেক্ষা করতাম কখন সন্ধ্যা হবে। মনটা এত অস্থির আগে কখনো হতো না। আমার অল্প মাইনের চাকরিতে দিন গুলো ভালোই ছিল, তোর কলেজ আর টিউশন। নতুন ফ্লেবার আইসক্রিম মজাই আলাদা ছিল, আর আমি সবসময় দুজনের জন্য
দুরকম কিনতাম দুটোই টেষ্ট হবে বলে। তুই নিজেরটা খেয়ে আমারটাও খেতিস, আমাকে কম টেষ্ট করতে দিতিস।ভালোবাসাটা আমার একারই ছিল ঝগড়া, খুনসুটি দুজনের ছিল, সেটা তো মানিস।আমি তোকে অন্য কারো সাথে সহ্য করতে পারতাম না, সে যেই হোক না কেন।রাগ, দুঃখ, অভিমান, কষ্ট সব একসাথে হয়ে একটা অদ্ভূত অনুভূতি হত যেটাকে শব্দ, বাক্য দ্বারা গঠন আমি করতে পারলাম না, দুঃখিত।
এখনো পারি না তোকে অন্য কারো সাথে দেখতে। দমবন্ধ লাগে, হাহাকার হয় বুকের ভিতর, চিৎকার করতে মন চায়, কিন্তু পারি না। স্নান ঘরে নিজেকে বন্দি করি। আবিরাম বারিধারায় নিজেকে সিক্ত করি, ভেজা মন বড় ক্লান্ত হয়। সে বারে যখন তোকে দেখলাম তুই তোর প্রাণের মানুষের সাথে স্টেশনে দাঁড়িয়ে গল্প করছিস, আমি আনমনে তোর কথা ভাবতে ভাবতে ট্রেন ধরতে যাচ্ছি, তোকে দেখে থমকে গেলাম।তুই অন্য কারো সাথে, আর আমার হেডফোনে আমার পছন্দের গান বাজছে “মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না, কেন মেঘ আসে হৃদয়ো আকাশে তোমারে দেখিতে দেয়না।” এসব কথা আজ তোকে বলছি আগে কখনো বলা হয়নি। এসবের অনেক আগে থেকেই তো শুধু ঝগড়া কারণে অকারণে, দূরত্ব বাড়তেই থাকলো। হঠাৎ করেই সব এলোমেলো হয়ে গেল। আর গোছাতে পারিনি কখনো হয়ত বা চাইনি। তোর ওই মায়া চোখ, নাকের তিল, তোর ওই প্রিয় বডিস্প্রের সাথে তোর নিজেস্ব যে গন্ধ মিশে থাকতো, তা আর ভুলে হয়ে ওঠা হয়নি কখনো। তোর ওই তিলটা বড় প্রিয় ছিলো আমার,আছে আজও। একটা কথা দিবি মনে মনে আমায়, ওই তিলটা আমারই থাক, কত উষ্ণতা, কত আদর দিয়েছিলাম ঢেলে আমার ওষ্ঠে ভরে। কথা দে প্লিজ ওটা আমারই থাকবে, অন্য কারো সোহাগ ওটাকে স্পর্শ করবেনা, কথা দে?
আমার চোখে এখন নোনাজল, বড্ড অভিমানী একটুতেই গড়াতে শুরু করে।
ভালো থাকিস।
ইতি
তোর ক্ষেপাটে …
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (একাদশ কিস্তি)বৃষ্টির শুরুতেই সামান্য ঠান্ডা পড়তে শুরু করলো। ক্লাবে লোক আসা একটু কমলো। বিকেলে ব্যাডমিন্টন খেলতে…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (দশম কিস্তি)(৮) শিফট ডিউটি আরম্ভ হতেই জীবনটা জীবিকার প্রয়োজন মাত্র হয়ে দাঁড়াল। অদ্ভুত সময়ে ঘুম থেকে…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (নবম কিস্তি)আমাদের পুরো ব্যাচটাকে কয়েকটা ছোট ছোট দলে ভাগ করা হলো। আমাদের দলে আমি, কর, সিং…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (অষ্টম কিস্তি)আমার মুখে হাসির ছোঁয়া দেখে বিপদভঞ্জন দুঃখ দুঃখ মুখ করে জিজ্ঞেস করল, ‘ছেড়ে দিলো?’ ‘কান…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (সপ্তম কিস্তি)নিকলের নিয়োগপত্র বার পাঁচেক খুঁটিয়ে পড়ে নিশ্চিন্ত হয়ে, আমার টুইডের কোটটা গায়ে দিয়ে অফিসে গেলাম।…