ভালোবাসার ডাকঘর ২ – ঐশ্বর্য্য চ্যাটার্জী

প্রিয়,
সে সব দিনগুলো আমাদের ছিল। সে বছর বৃষ্টিটাও দারুন ছিল, মনে আছে? সে দিন সন্ধ্যাবেলা ৬.০৬ এর ট্রেনে বাড়ি ফিরছি আকাশের মুখ বেশ ভার, স্টেশন থেকে নেমে সাইকেল নিতেই বৃষ্টি শুরু, অল্প। আমি ফুচকা নিলাম তোর পছন্দের দোকান থেকে, আমার কিছু কাগজের শীটও ছিলো সাথে, সেগুলো কোনো রকম চাপা দিয়ে তোর বাড়ি। ভিজেছিলাম ভালোই, ফুচকা কিন্তু ভেজেনি।
তোর বাড়ির সামনে এসে দেখি পেঁপে গাছ উল্টে গেছে। আমি ঘরে ঢুকে তোকে ফুচকা দিয়েছিলাম তারপর আমার শীট ঠিক করেছিলাম।তারপর কাকিমা রান্না ঘরে গেলে তোর উষ্ণতা টুকু পেয়েছিলাম। তোর মায়া চোখে তাকানো, দুষ্টুমি করে মুখ বাঁকানো কোনো কিছুই ভোলা হয়নি আর। এখন বৃষ্টি পরলে সেসব দিনের কথা মনে পরে খুব। জানিস তো ভালোবাসার একটা শিহরণ আছে আলাদা, অনুভূতিও আছে আলাদা, যেটাকে শব্দ দিয়ে যব্দ করা যায় না। সেক্স আর ভালোবাসার মধ্যে বিস্তর ফারাক দুটো এক নয়, আর আমরা দুটোকে এক করে গুলিয়ে ফেলি বারবার। এই দেখ তোকে কত কী বলে ফেললাম, বিরক্ত হচ্ছিস খুব জানি। তোকে দেখলে, তোকে মনে করলে এখন আমার মনটা ঠান্ডা হয়ে যায়। এখন দূর থেকে তোকে দেখলে আমার হৃদ স্পন্দন বেড়ে যায়, প্রথম দিনের মত আজ ও হাঁটু কাঁপে। তোকে এখন কত কথা বলা বাকি, কত কথা শোনাও বাকি। আর হয়তো এজীবনে আমাদের কথোপোকথন হবে না। ভালো থাকিস, ভালোটি থাকিস।
ইতি
তোর ক্ষেপাটে
ঐশ্বর্য্য চ্যাটার্জী
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (ষষ্ঠ কিস্তি)বম্বেতে গিয়ে জীবনে প্রথম কোনও নারীর কাছ থেকে বাংলায়, ‘আমি (তোমাকে) ভালবাসি’ শুনলাম। মেয়েটির মারাঠী,…
- ঋতুযান উৎসব সংখ্যা ১৪৩০ উদ্বোধন অনুষ্ঠান
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (পঞ্চম কিস্তি)(৪) এন. টি-র চাকরিতে আমার কলকাতার বাইরে প্রথম ট্যুর এলো, আহমেদাবাদ আর বম্বে। সব মিলে…
- ব্যোমকেশ – অজিতের মেসবাড়িমহাত্মা গান্ধী রোডের ৬৬ নম্বর বাড়িটিকে প্রেসিডেন্সি বোর্ডিং হাউস নামে পরিচিত।এই বোর্ডিং হাউসটি ২০১৭ সালে…
- রবি ঠাকুরের মূর্তি – স্ট্র্যাটফোর্ড আপঅন অ্যাভনদেবব্রত সান্যাল : উইলিয়াম শেক্সপিয়রের জন্মস্থানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি দেখে অবাক ও খুশি হলাম। রবীন্দ্রনাথ…