পৃথিবীর মানচিত্র কি পাল্টে গেল?
ডেনমার্কের একদল বিজ্ঞানীর উদ্দেশ্য ছিল পুরু বরফের চাদরে ঢাকা গ্রিনল্যাণ্ডের ওদাক দ্বীপে পৌঁছনো। আর সেখানে রওনা দিতে গিয়ে তারা অজান্তেই আবিষ্কার করে ফেললেন বিশ্বের northernmost island-কে। স্বপ্নেও ভাবেননি এমনটা হতে পারে। এই আবিষ্কারের জেরে বদলে যেতে পারে বিশ্ব মানচিত্র। নতুন দ্বীপটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন মিটার উঁচুতে অবস্থিত, এটি এখন পৃথিবীর নতুন উত্তরাঞ্চলীয় ভূমি। এর আগে ওদাককে পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তরের ভূখণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। দলটি হেলিকপ্টারে করে ওডাক যাচ্ছিল।
গ্রিনল্যান্ডের আর্কটিক স্টেশন রিসার্চ ফ্যাসিলিটির প্রধান তথা মেরু এক্সপ্লোরার মর্টেন রাশ রয়টার্সকে বলেন, “এই দ্বীপ আবিষ্কার করা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা মূলত ওদাক দ্বীপ থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশের হিসেব দেখে দেখলাম পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তরের স্থলভাগে দাঁড়িয়ে রয়েছি আমরা । আজ পর্যন্ত কোনও মানুষের যেখানে পা পড়েনি।” এই অভিযানের অর্থায়নকারী লিস্টার ফাউন্ডেশনের সুইস উদ্যোক্তা ক্রিশ্চিয়ান লিস্টার উচ্ছসিত নতুন একটি দ্বীপ আবিষ্কারের খবরে। তার মতে, ওদাকা দ্বীপ ভেবে আমরা যে নতুন দ্বীপে পা রেখেছি তা সত্যিই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। অভিযাত্রী দল আসলে ওদাক দ্বীপ থেকে ৭৮০ মিটার দূরে চলে গিয়েছিলেন। গোটা দ্বীপটি সমুদ্রের কাদামাটি, পাথরের টুকরো দিয়ে তৈরি, সেই সঙ্গে পুরু বরফের চাদরে ঢাকা।এখানে কোনো গাছপালাও নেই। ডেনমার্কের ন্যাশনাল স্পেস ইনস্টিটিউটের জিওডায়নামিক্সের অধ্যাপক এবং প্রধান রিনি ফর্সবার্গ বলেছেন যে একটি দ্বীপের সংজ্ঞা পূরণ করতে হলে যে যে বৈশিষ্ট দরকার তার সবটাই এখানে বর্তমান। পৃথিবীর উত্তর মেরুর একেবারে শেষ ভূমি আপাতত এই দ্বীপটিই। যদিও গবেষকরা জানিয়েছেন যে, দ্বীপের তকমা পেতে গেলে ভূখণ্ডটিকে সবসময় সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরে থাকতে হবে। ডুবে গেলে তা দ্বীপের মর্যাদা পাবে না। কয়েক দশক ধরে, বেশ কয়েকটি অভিযাত্রী দল বিশ্বের সবচেয়ে উত্তরের দ্বীপের সন্ধান করছেন । ২০০৭ সালে একটি নতুন দ্বীপের সন্ধান পান প্রবীণ আর্কটিক বিশেষজ্ঞ ডেনিস স্মিট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর্কটিক দেশে অধিকার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক এবং নরওয়ের মধ্যে একটি ঠান্ডা যুদ্ধ চলছে, এই দ্বীপ আবিষ্কার তারই ফল। ডেনমার্ক সরকারের উপদেষ্টা ফর্সবার্গের মতে, নতুন দ্বীপটি গ্রীনল্যান্ডের উত্তরে ডেনমার্কের আঞ্চলিক দাবির পরিবর্তন করবে না। গ্লোবাল ওয়ার্মিং গ্রিনল্যান্ডের বরফের চাদরে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। তবে উত্তরের এই দ্বীপটি আবিষ্কারের সঙ্গে জলবায়ুর সরাসরি প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা।
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (একাদশ কিস্তি)বৃষ্টির শুরুতেই সামান্য ঠান্ডা পড়তে শুরু করলো। ক্লাবে লোক আসা একটু কমলো। বিকেলে ব্যাডমিন্টন খেলতে…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (দশম কিস্তি)(৮) শিফট ডিউটি আরম্ভ হতেই জীবনটা জীবিকার প্রয়োজন মাত্র হয়ে দাঁড়াল। অদ্ভুত সময়ে ঘুম থেকে…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (নবম কিস্তি)আমাদের পুরো ব্যাচটাকে কয়েকটা ছোট ছোট দলে ভাগ করা হলো। আমাদের দলে আমি, কর, সিং…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (অষ্টম কিস্তি)আমার মুখে হাসির ছোঁয়া দেখে বিপদভঞ্জন দুঃখ দুঃখ মুখ করে জিজ্ঞেস করল, ‘ছেড়ে দিলো?’ ‘কান…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (সপ্তম কিস্তি)নিকলের নিয়োগপত্র বার পাঁচেক খুঁটিয়ে পড়ে নিশ্চিন্ত হয়ে, আমার টুইডের কোটটা গায়ে দিয়ে অফিসে গেলাম।…