ভালোবাসার ডাকঘর – শেষ পর্ব – ঐশ্বর্য্য চ্যাটার্জী
প্রিয়,
আমার কোনো চিঠির উওর তো পেলাম না। জানতাম পাব না তবু কোথাও একটা ক্ষীণ আশা থেকেই যায়। জীবন তার মত করেই চলে, এই দেখ না একসময় আমরা কত কাছে ছিলাম, এখন কত লক্ষ মাইল দূরে আছি। কত অপমান, শত অভিমানের পরও তোকে মেসেজ, ফোন করেছি। কখন মন খারাপ হলে ভীষণ মনে পড়ছে তাই ফোন করে তোর গলা শুনেছি।
কিছু বলার হলে তোকে মেসেজ, মেসেঞ্জারে লিখে পাঠিয়েছি। তারপর যতদিন গেছে তোর বিরক্তি বেড়েছে আমার প্রতি তাই খুব সহজে আমাকে ব্লকলিষ্টে ফেলে দিয়েছিস। তুই বলিস আমার নাকি খুব ইগো, আমি মেসেজ করতে পারি কিন্তু ফোনে বা সামনাসামনি কথা বলতে গেলে নাকি আমার ইগোতে লাগে। আমি কি করে বোঝাই তোকে সামনাসামনি কথা বললে আজও আমার হাঁটু কাঁপে ,হৃদ স্পন্দন বেড়ে যায়। আমাকে স্বযত্নে তুই ব্লকলিষ্টে ফেলে দিয়েছিস, সব থেকে ফোন, মেসেজ, মেসেঞ্জার, হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক যাতে তোর সাথে আর যোগাযোগ না হয় আমার। কিন্তু যদি ফিরতি পথে আমাদের দেখা হয়, তখন কি হবে? যদি কোন বৃষ্টি ভেজা দিনে একই জায়গাতে আমাদের দাঁড়াতে হয়, আধ ভেজা চুলে, আধ ভেজা মনে কি হবে তখন? শেষে একটাই ভরসা ছিল ইমেল, সেখান থেকেও ব্লক। আর কোন রাস্তা নেই তোর কাছে যাবার সব ব্লক। যেন আমার হৃদপিন্ডে কেউ রক্ত প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এখন বয়স বাড়ছে তাই আর অপমান, খিল্লি, ছোট করা আর ভালো লাগে না, অন্যরকম অনুভূতি হয়, আত্মসম্মান টাও তো দেখতে হবে বল? অনেক অপমান, অনেক খিল্লি মেনেছিলাম, এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না।তোর একদিন ঠিক মনে পড়বে আমায় সেদিন আর ব্লকলিষ্ট থেকে ফ্রেন্ডলিষ্টে আমায় আনতে পারবি না। হাজার চাইলেও আর পাসওয়ার্ড মনে পড়বে না। সময়ের ক্ষত সময়ই ভুলিয়ে দেবে, শুধু আমাদের নামহীন সম্পর্কের কাছে আর ফেরা হবে কখনও। কিছু ভালোবাসা এরকমই হয় দাবিহীন। তোর আমার গল্পে- আমাদের কাহিনি কিছু কম ছিলো না, একটা পুরো জীবন কাটানো যাবে, সেসব ভেবে। ওই গানটা খুব মনে পড়ছে জানিস “Mehefil mein tere hum na rahe jo, gham to nahi hai ghum to nahi hai, Qisse humaari nazdeeqiyon ke kam to nahi hai,kam to nahi hai,” সত্যি কিছু কম ছিল না। এখন আর ভীষণ ভালোবাসি বলি না,ওটা তোর জন্য রাখা আছে খুব যত্ন করে। ভালো থাকিস, পথ চলতিতে যদি কখনো দেখা হয়ে যায়, যদি তোর দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ফেলি, চোখ সরিয়ে নিস, মুখ ঘুরিয়ে নিস। আমিও না হয় একটু কঠিন হবো। তোর সাইকো, তোর ক্ষ্যাপাটে আর তোকে বিরক্ত করবে না। একদিন যে চিঠি পরে তুই কেঁদেছিলি, সে চিঠি আজকের পর থেকে আর তোর ঠিকানায় যাবে না। ভালো থাকিস, ভালোটি থাকিস।
ইতি
তোর সাইকো
ঐশ্বর্য্য চ্যাটার্জী
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (একাদশ কিস্তি)বৃষ্টির শুরুতেই সামান্য ঠান্ডা পড়তে শুরু করলো। ক্লাবে লোক আসা একটু কমলো। বিকেলে ব্যাডমিন্টন খেলতে…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (দশম কিস্তি)(৮) শিফট ডিউটি আরম্ভ হতেই জীবনটা জীবিকার প্রয়োজন মাত্র হয়ে দাঁড়াল। অদ্ভুত সময়ে ঘুম থেকে…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (নবম কিস্তি)আমাদের পুরো ব্যাচটাকে কয়েকটা ছোট ছোট দলে ভাগ করা হলো। আমাদের দলে আমি, কর, সিং…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (অষ্টম কিস্তি)আমার মুখে হাসির ছোঁয়া দেখে বিপদভঞ্জন দুঃখ দুঃখ মুখ করে জিজ্ঞেস করল, ‘ছেড়ে দিলো?’ ‘কান…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (সপ্তম কিস্তি)নিকলের নিয়োগপত্র বার পাঁচেক খুঁটিয়ে পড়ে নিশ্চিন্ত হয়ে, আমার টুইডের কোটটা গায়ে দিয়ে অফিসে গেলাম।…