ভালোবাসার ডাকঘর – ঐশ্বর্য্য চ্যাটার্জী
প্রিয়,
খুব যত্ন করে ভালোবেসেছি তোকে।কত অভিমান,আবদার ভাঙিয়ে তোর কাছে গেছি।তোর মনে আছে সেদিন সন্ধ্যাতে আমাদের চিকেন প্যাটিস খাওয়ার কথা,তুই সব পুরটা খেয়ে আমার মুখে শুকনো প্যাটিস পুরে দিয়েছিলিস আর তোর কি হাসি যেন বিশ্বজয় করে ফেলেছিস,আমি অল্প রাগ দেখালেও মনে মনে খুশি হয়েছিলাম খুব।আর এই ত কবছর আগের কথা আমি ২০ টাকার চুরমুর কিনে ভয়ে তোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম,বুঝিনি ২০ টাকার এত বেশি হবে।তুই দেখে বললি যে এত কেউ কেনে ,আমি বললাম যতটা পারবি খেয়েনেব বাকিটা না হয় ফেলে দেব ,তুই বললি চুরমুর আবার ফেলে নাকি বলে প্ল্যাটর্ফমে পাতা বেঞ্চিতে বসে দুজনে শেষ করলাম।আমাদের একসাথে বৃষ্টিতে ভেজা,আমার ভেজা চুল এলোমেলো করে দেওয়া।আমার প্রচন্ড রাগকে তোর ওই চোখের ভালোবাসা দেখিয়ে শান্ত করা।আমি খুব যত্নে সেই স্মৃতি তুলে রেখেছি আমার হৃদয়ের সিন্দুকে।তোর কি মনে পড়ে এসব কথা? জানিস আমার একটা বিশ্বাস ছিলো,যত যাই হোক না কেন তুই কখন আমায় ছেড়ে যাবি না।তাই তোর চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারিনি।আমাদের শেষটা আরও ভালো হতে পারতো কিন্ত হয়নি।যেদিন বললি আমায় ,যে তুই যারতার উপর অভিমান করিস না,সেদিন থেকেই অভিমানের পাহাড় আমার বুকে জমা হয়েছে।আমার পাঠানো তোর জন্মদিনের কেকটা তুই চোখেই দেখিসনি শোনার পর আমি স্তম্ভিত হয়ে গেছি।আমাকে দেখে যখন মুখ ঘুরিয়ে নিতিস ,তার চেয়ে মৃত্যু সহজ ছিল আমার কাছে।সত্যি কি একবারের জন্য আমার কথা মনে পড়েনা তোর?আমাদের কাটানো সময় গুলো,আমার পাগলাম।সারা রাত ধরে গল্প করা,তোর ভূতের ভয়।তুই যখন আমার দেওয়া সাদা মাফলারটা পরতিস,আমার মনে হত আমি যেন তোর গলা জড়িয়ে আছি।আমাদের উদ্দেশ্যহীন স্কুটি চালানো,তোকে জড়িয়ে ধরে থাকা,সেসব কথা ভাবলে আজ ও শিহরিত হয়ে উঠি।তুই বজ্রপাতে ভীষণ ভয় পেতিস,এখন কি করে একা থাকিস ঝড় বৃষ্টির রাতে।আমি তো জানতাম আমি তোকে পাবনা কোনো দিন,এটাও জানতাম তুই ভালোবাসিস না আমায় ,তাও কি প্রচন্ড আকরে ধরেছিলাম তোকে,যেন তুই ছাড়া আমার পৃথিবী শূন্য। তুই চলে যাবার পর আমি ক্লান্ত বিষণ্ণ হয়ে পড়েছিলাম বহুদিন।তারপর আলতো করে নিজের ভাঙা টুকরো গুলোকে গুছিয় নিয়েছি,তাতে দাগ গুলো আজ ও স্পষ্ট।ভালো থাকিস ভালোবাসা,ভালোটি থাকিস।তোর জন্য আমার ভালোবাসা অকৃত্রিম।
ইতি
তোর পাগলাটে,
ক্ষেপাটে ভালোবাসা।
ঐশ্বর্য্য চ্যাটার্জী
গরলগাছা,হুগলী।
📞98
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (একাদশ কিস্তি)বৃষ্টির শুরুতেই সামান্য ঠান্ডা পড়তে শুরু করলো। ক্লাবে লোক আসা একটু কমলো। বিকেলে ব্যাডমিন্টন খেলতে…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (দশম কিস্তি)(৮) শিফট ডিউটি আরম্ভ হতেই জীবনটা জীবিকার প্রয়োজন মাত্র হয়ে দাঁড়াল। অদ্ভুত সময়ে ঘুম থেকে…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (নবম কিস্তি)আমাদের পুরো ব্যাচটাকে কয়েকটা ছোট ছোট দলে ভাগ করা হলো। আমাদের দলে আমি, কর, সিং…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (অষ্টম কিস্তি)আমার মুখে হাসির ছোঁয়া দেখে বিপদভঞ্জন দুঃখ দুঃখ মুখ করে জিজ্ঞেস করল, ‘ছেড়ে দিলো?’ ‘কান…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (সপ্তম কিস্তি)নিকলের নিয়োগপত্র বার পাঁচেক খুঁটিয়ে পড়ে নিশ্চিন্ত হয়ে, আমার টুইডের কোটটা গায়ে দিয়ে অফিসে গেলাম।…