লাল তিল – সুচেতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অর্পণ দস্তিদার- নামটা এখন হয়ত আর কেউ বিশেষ চিনবেন না, কারণ অর্পণ নিজেকে আলাদা করে চেনানোর আগেই কর্মজীবন থেকে বিদায় নিয়েছিল। যারা ওর বন্ধু ছিল তাদের কথা আলাদা। আমার ওকে মনে আছে, তার অবশ্য একটা কারণ আছে।
আমার ঘরে আমার বেডরুমের দেওয়ালে ওর আঁকা একটা ছবি টাঙানো আছে। এক নগ্নিকার ছবি। আঁকাটা আহামরি কিছু নয়। অলস ভঙ্গীতে শায়িতা এক নগ্নিকা, যার হাতে একটা তাজা ম্যাপল্ পাতা, যার রঙ আশ্চর্য রকম সবুজ। পুরো ছবিতে শুধু ওই পাতাটাই রঙীন।
এমন ছবি অনেকেই এঁকেছেন, তবু আমার কাছে এর গুরুত্ব অন্য জায়গায়। সেই গল্পটাই এখন বলব।
অর্পণ আমার মেসে আমার রুমমেট ছিল। এই দোতলা মেসে বারোজন বোর্ডারের মধ্যে তিনজন চাকুরে আর অর্পণ ফাইন আর্টের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ছিল। বাকি সবাই মাস্টার্স এর স্টুডেন্ট।
মিতভাষী অর্পণের সঙ্গে আমাদের একটা চলনসই দোস্তি হয়ে গিয়েছিল।
যেদিনের ঘটনা, সেদিন আমার বান্ধবী ঝিলম আমার সাথে দেখা করতে এল। ও এর আগেও এসেছে আমার মেসে, কিন্তু সেদিনই প্রথম ওর দেখা হল অর্পণের সাথে। অর্পণের চোখের দৃষ্টি আমার ভাল লাগেনি। কেমন যেন মুগ্ধতার ভাব। অথচ লোলুপতা ছিল না। ঝিলমও কেন জানি না একটু অস্বস্তি বোধ করছে মনে হল।
বাইরে খাওয়াদাওয়া সেরে যখন আমি মেসে ফিরলাম দেখি অর্পণ তন্ময় হয়ে আছে তার ক্যানভাসে।
আমি রোজকার মতই লেখাপড়া নিয়ে বসলাম। রাত দুটো নাগাদ যখন শুতে যাচ্ছি তখনও ও একমনে ছবি আঁকছে। আমার আর্টে কোনকালে উৎসাহ নেই তাই দেখতেও যাইনি কি আঁকছে।
পরদিন ঘুম ভাঙাল মুনাল। বলে, দেখেছিস কী এঁকেছে মালটা?
আমি দেখতে এলাম। ঘরে জনা পাঁচেক ছেলে হুমড়ি খেয়ে আঁকা দেখছে। আমিও দেখলাম। শায়িতা এক নগ্নিকার ছবি। এতে এত সাড়া পড়ে যাওয়ার কি হল বুঝলাম না। বললাম, তোরা কি কখনো এসব ছবি দেখিস নি নাকি? দিনরাত পানু খুলে বসে থাকিস, এ তো সেখানে আঁকা মাত্র! যত্তসব!
রাকেশ চোখ টিপল, তুই কি ছবিটা সত্যিই দেখিসনি উপল?
আমি আবার ফিরে গিয়ে দেখলাম।
আরে শালা!! একি দেখছি আমি! এই নগ্নিকা তো আর কেউ নয়, আমারই গার্লফ্রেন্ড ঝিলম! অবিকল ঝিলমের মুখ নামিয়েছে অর্পণ! মাথায় আগুন ছুটল। টেবিলে পড়ে থাকা পেপারওয়েট তুলে ছুঁড়ে মারলাম ওকে। রাকেশ লুফে না নিলে নির্ঘাত কেলো হয়ে যেত।
নিজেকে কেমন যেন ছাগল ছাগল লাগছিল আমার। আমার ঝিলমের অনাবৃত শরীরের ছবি লোলুপ চোখে দেখছে আমারই সহপাঠীরা, উত্তেজিত হচ্ছে মনে মনে, সহ্য হচ্ছিল না। অর্পণ কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা টমা চেয়ে আমাদের সামনেই তুলি দিয়ে ছবির মুখের চেহারা কিছুটা পালটে দিল, তবে আমি শান্ত হলাম।
ছবিটা আমি ওর থেকে কেড়ে রেখে দিলাম নিজের কাছে।
ছবিটার কথা ঝিলমকে কিছু বলিনি।
সেই রাতেই ছবিটা চোখ দিয়ে গিলতে গিলতে প্রবল উত্তেজনায় সোজা হয়ে উঠে বসলাম বিছানায়-এ কি করে সম্ভব? ঝিলমের শরীরে গোটাতিনেক লাল তিল ছিল বিশেষ বিশেষ অঙ্গে, সেগুলো পর্যন্ত হুবহু এঁকেছে অর্পণ! তবে কি…তবে কি…
ঝিলমের সেদিনের অস্বস্তি মনে পড়ল।
আমার পড়া মাথায় উঠল। দিনরাত্তির মন কুরে কুরে খেতে লাগল দমচাপা অপমানবোধ আর হিংস্র আক্রোশ। দুজনে মিলে আমায় চিট করেছে ওরা।
সেদিনের পর থেকে কেটে গেছে হপ্তাদুই। ঝিলম যে কোন কারণেই হোক বেশ গুটিয়ে গেছে। সেভাবে কথা বলেনি আর, দেখা করেছে একবারমাত্র, তাও মিনিটদশেকের জন্য। ও তো আর জানেনা, আমার কাছে সব দিনের আলোর মত পরিষ্কার!
ঝিলমের সঙ্গে পরে বোঝাপড়া হবে, আগে অর্পণের মামলাটা গোছাই। সে আমার মুঠোর ভেতরেই আছে।
ঠাণ্ডা মাথায় ফাঁদ পাতলাম।
অর্পণ খুব ভীতু, গোটা মেস জানে। এ নিয়ে ওকে মাঝেমাঝেই নাস্তানাবুদ করে অনেকেই।
আমি ছবিটা বাঁধিয়ে আনলাম, পিছনে বসালাম লুকোনো ছোট্ট স্পীকার। মোবাইলে একটা নতুন সফটওয়্যার লোড করেছি অনেক খুঁজেপেতে, আমার কণ্ঠস্বর রেকর্ড করে রাখব, যখন শুনব তখন সেই কথাগুলোই মেয়েদের কণ্ঠস্বরে শোনাবে। স্পীকারটা যোগ করা আছে ওয়াইফাইতে।
অর্পণ ছবিটা দেওয়ালে দেখে খুব অবাক হয়ে গেল। ভেবেছিল আমি ওটা কুচিকুচি করে ছিঁড়ে ফেলব বোধহয়। তার বদলে বাঁধিয়ে এনেছি দেখে একটু থতিয়ে গেল। আমি বললাম, থাক না তোর আঁকা একটা। এখন তো ওটা যে কোন মেয়ে, তাই না?
প্রায় মাসখানেক কোন সমস্যা হল না। তারপর শুরু হল ভৌতিক ব্যাপার।
এক ভোরবেলা অর্পণকে বিধ্বস্তভাবে বসে থাকতে দেখলাম। কি হয়েছে জানতে চাইলে ও কিছু অবিশ্বাস্য কথা শোনাল। মাঝরাতে নাকি ওর মনে হয়েছে কে ওকে ডাকছে। ঘুম ভেঙ্গে কিছু দেখতে পায়নি। কিন্তু স্পষ্ট শুনেছে কেউ বলছে, এসো না প্লিজ! আমার কাছে এসো। আমি খুব একা! গলাটা কোন মেয়ের, খুব সেক্সি ভয়েস।
আমরা সবাই মিলে ওকে হেব্বি আওয়াজ দিলাম। বিরাজ, মিলন, শুভমরা মুখ ভেঙ্গিয়ে বলল, আঁকবি আর ###মেয়ের ছবি? তোকেই সব্বস্ব দিয়ে ছাড়বে… ইত্যাদি। অর্পণের ভ্যাবাচ্যাকা ভাব কিন্তু গেল না তাতে।
এরপর প্রায়রাতেই এই ঘটনা। এক একদিন এক এক রকম কথা শুনতে পায় অর্পণ। ওর ঘুমের বারোটা বেজে গেল। মনের শান্তি তলানিতে এসে ঠেকল। আঁকা বন্ধ হবার জোগাড় হল।
আমার শান্তি ফিরতে লাগল একটু একটু করে।
এরপরের ঘটনার জন্য আদৌ প্রস্তুত ছিলাম না আমি। ঝিলম হঠাৎ উধাও হয়ে গেল। ফোন বন্ধ, কোন খবর নেই। ওর অফিসেও কেউ কিছু বলতে পারল না। শেষ যেদিন অফিসে এসেছিল সেদিন নাকি বলেছিল ওর ধারণা কেউ ওকে নিয়মিত ফলো করছে। ওর মানসিক শান্তি নষ্ট হয়ে গেছে। বন্ধুরা পুলিশে খবর দিতে বলেছিল কিন্তু ও দেয়নি। বন্ধুদের মনে হয়েছে কিছু একটা লুকোচ্ছে ও।
অপারেশন সাক্সেসফুল, তাই আমার খুশি হবারই কথা, কিন্তু হতে পারলাম না। কারণ ঝিলম কোথায় গেল সে খবর সত্যিই কোথাও পাওয়া গেল না।
ঝিলমকে আমি ভালবাসতাম, তাই ওর বিশ্বাসঘাতকতা আমার মন ভেঙে দিয়েছিল।ওর কোন ক্ষতি আমি চাইনি, শুধু চেয়েছিলাম সত্যিটা জানতে, আমায় অন্ধকারে রেখে কতদূর নিচে নেমেছে ওরা। তাই লুকিয়ে ওকে ফলো করেছি কয়েকদিন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল ও আর অর্পণ দেখা করবেই। কোথাও না কোথাও। এত করেও আমি কিছু জানতে পারিনি,তবু সরাসরি জিজ্ঞাসা করতে সম্মানে বেধেছিল আমার।
এখন দুশ্চিন্তা হচ্ছে।
এদিকে অর্পণের অবস্থা সঙ্গীন। ওর দৃঢ় বিশ্বাস, ওই ছবির মেয়েটাই ওকে রাত্রে ডাকে। অশরীরী অলৌকিকতায় গভীর বিশ্বাস ওর। আমরা বোঝালাম, এ হতে পারে না। এ ওর নিজের আঁকা ছবি। এর তো অন্য কোন ইতিহাস থাকতেই পারে না, তাহলে?
এ পর্যন্তই। আর এগোইনি আমি। ছবি থেকে স্পীকার খুলে পেছনটা মেরামত করে দিয়েছি চুপিচুপি। মোবাইল থেকে হাওয়া করে দিয়েছি সফটওয়্যারটাও। কারণ আমার মন বলছিল বিপদ আসছে।
বিপদ এল পুলিশের বেশে। ঝিলমের ফোনটা পাওয়া গেছে ওর অফিসের ডেস্কে। তাতে শেষ যে কটা মিসড কল আছে, তার গোটাকুড়ি আমার নাম্বার থেকে। সততার সঙ্গে জবানবন্দি দিলাম। আমি তার প্রেমিক ছিলাম, ঝগড়া হয়নি, কিন্তু মনকষাকষি হয়েছিল ইত্যাদি। পুলিশ জাতটা বেজায় ধড়িবাজ। দুদিনের মধ্যে ছবির বিষয়ে সব জেনে গেল। আমায় ধমকচমক করে গেল, জানিয়ে গেল আমি ওদের সন্দেহভাজন তালিকায় আছি।
একটা কথা আমি পুলিশের রদ্দা খেয়েও কিছুতেই ভাঙিনি। সেটা হল ছবির লাল তিল রহস্য, যার কথা আমি ছাড়া অন্য কেউই জানেনা। সেজন্যই শেষপর্যন্ত রক্ষা পেয়ে গেলাম আমি। কারণ অর্পণের ওপর আমার রাগ অত্যন্ত সঙ্গত হলেও ঝিলমের অন্তর্ধানে আমার কোন ভূমিকা কেউ আবিষ্কার করতে পারল না। অর্পণের অবসাদগ্রস্ত অবস্থার জন্য আমাকে সন্দেহ করা গেলেও প্রমাণ কিছুই করা গেল না।
আমার ঘরের ফ্রেমবন্দী নায়িকা আর কখনও ডাকেনি, তবু অর্পণের মানসিক অসুস্থতা উত্তরোত্তর বাড়ছিল। সারারাত ছবিটাকে বুকে চেপে ধরে বসে থাকত, আর বিড়বিড় করত, আমায় ক্ষমা কর। এ অপরাধের কোন ক্ষমা হয় না, তবু আমায় ক্ষমা কর।
এরপর একদিন পুলিশ অর্পণকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় ডাকল। ওর কাছে যা জানা গেল তা বিস্ফোরক!
হ্যাঁ, ঝিলমকে চিনত অর্পণ বেশ ভালভাবেই। আলাপও ছিল। বন্ধুত্ব হয়নি, ঝিলম চায়নি বলে।যেটা অকল্পনীয়, সেটা হল, এককালে আর্টকলেজে রীতিমতো যাতায়াত ছিল ঝিলমের। আর্টের ছাত্রী হিসেবে নয়, ন্যুডস্টাডির জন্য মডেল হিসেবে! সুগঠিত আর নির্মেদ, আকর্ষণীয় দেহসুষমার জন্য অন্য আরো দুজন মডেলের চেয়ে ছাত্ররা বেশি করে দাবি করত ঝিলমকে। কাজ শেষে তুরন্ত বেরিয়ে পড়ত সে, অতিরিক্ত কৌতুহল কারো কখনো মিটিয়েছে বলে অর্পণ জানেনা। হয়ত কোন পারিবারিক সমস্যা ছিল তার, নাহলে কোন মেয়ে এমন চাকরি নেয় কখনও? কিন্তু গত সাত আটমাস সে মাসে দুবারের বেশি আসত না, কোথায় একটা ভাল চাকরি পেয়েছিল। আর্টকলেজে তার হিউজ ডিমাণ্ডের জন্য কর্তৃপক্ষ বেশি টাকা দিয়েও তাকে মাসে দুদিন রেখেছিলেন।
ঝিলমের মায়াবী দেহবল্লরী, তার প্রতিটি ভাঁজ অর্পণের মুখস্থ, তাকে সামনে না দেখেও অনায়াসে তার নগ্নসৌন্দর্য্য যেকোন সময়ে এঁকে ফেলতে পারে অর্পণ। সেদিন মেসে তাকে দেখে ভয় পেয়েছিল ঝিলম। পরের দিনই আর্টকলেজে সে অর্পণকে ডেকে প্রতিজ্ঞা করায় এসব কথা আমার কাছে যেন কখনোই প্রকাশিত হয়ে না পড়ে। তাই অর্পণ এতদিন চুপ থেকেছে, এবং তার সম্যক ধারণা তার ভুলের মাশুলই বয়ে বেড়াচ্ছে ঝিলম।
তীব্র অনুশোচনায় আমার মনপ্রাণ বিষাক্ত হয়ে উঠল। ন্যুডস্টাডির অভিনব সম্ভাবনা আমার মাথাতেই আসেনি। আমি ওদের মিথ্যে সন্দেহ করে প্রতিশোধ নিয়েছি। ভয় দেখিয়েছি দুজনকেই, কিন্তু আমার কি সত্যিই কোন দোষ ছিল? সেই পরিস্থিতিতে আমার মতো করেই তো যে কেউ ভেবে নিত, নয় কি?
কী হল ঝিলমের? কোথায় গেল সে? অর্পণকে হয়ত ভরসা করতে পারেনি, আমিও কি তাহলে যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য ছিলাম না তার কাছে? নাকি সে আমাকেই সন্দেহ করেছে ফলো করার ব্যাপারে?
আমিও কি ওকে কম খুঁজেছি? দেখা হলে অন্ততঃ ক্ষমা তো চাইতে পারতাম!
ঝিলমকে আর কেউ কখনো দেখেনি এই শহরে।
মানসিকভাবে চূড়ান্ত বিপর্যস্ত অবস্থায় অর্পণকে মানসিক হাসপাতালে যেতে হল। ঝিলমের অন্তর্ধানের পেছনে সে নিজেকে ক্ষমা করতে পারেনি। যাবার সময় সে ওই ছবিটা সঙ্গে নিতে চেয়েছিল। ছবির নায়িকা নাকি ঝিলমই, সে বন্দী হয়ে আছে ওই ছবিতে। সে ওকে কিছু বলতে চায়, ও একা হলেই সে নাকি কথা বলবে।
এই ঘটনার পর দশ বছর কেটে গেছে। আমি এখন চাকরি করি। বিয়ে থা করিনি। প্রেমট্রেম আমার আসে না। বন্ধুবান্ধবদের এড়িয়ে চলি। ছোট্ট একটা এককামরা ফ্ল্যাটে একা থাকি। দেশে পারতপক্ষে যাই না। যদি বা যাই সন্ধ্যের আগে ফিরে আসা চাইই চাই। নাহলে ঝিলমের কি হবে? সে যে বড় দুঃখী, বড় একা! আমি ছাড়া তার আছেটাই বা কে? এমনিতেই সারাদিন একা একা থাকে, সারারাত কি করে তাকে একা রাখি? সমস্ত শহর ঘুমিয়ে পড়লে ঝিলম রোজ চুপিচুপি নেমে আসে আমার কাছে। মাথায় হাত বুলোয়, আদর করে। কত কথা হয়…কেটে যায় রাত…
হাতে সবুজ ম্যাপলপাতা নিয়ে নগ্নিকার শরীরে জ্বলজ্বল করে জ্বলতে থাকে তিনটে লাল তিল।
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (একাদশ কিস্তি)বৃষ্টির শুরুতেই সামান্য ঠান্ডা পড়তে শুরু করলো। ক্লাবে লোক আসা একটু কমলো। বিকেলে ব্যাডমিন্টন খেলতে…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (দশম কিস্তি)(৮) শিফট ডিউটি আরম্ভ হতেই জীবনটা জীবিকার প্রয়োজন মাত্র হয়ে দাঁড়াল। অদ্ভুত সময়ে ঘুম থেকে…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (নবম কিস্তি)আমাদের পুরো ব্যাচটাকে কয়েকটা ছোট ছোট দলে ভাগ করা হলো। আমাদের দলে আমি, কর, সিং…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (অষ্টম কিস্তি)আমার মুখে হাসির ছোঁয়া দেখে বিপদভঞ্জন দুঃখ দুঃখ মুখ করে জিজ্ঞেস করল, ‘ছেড়ে দিলো?’ ‘কান…
- কচ্ছপের বেঁচে থাকা – দেবব্রত সান্যাল (সপ্তম কিস্তি)নিকলের নিয়োগপত্র বার পাঁচেক খুঁটিয়ে পড়ে নিশ্চিন্ত হয়ে, আমার টুইডের কোটটা গায়ে দিয়ে অফিসে গেলাম।…