সামাজিক রোবট এবার বিশেষ শিশুদের জন্য
![হংকংয়ে অটিজমে আক্রান্ত এক শিশুকে রোবটের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধির কৌশল শেখানো হচ্ছে](https://i0.wp.com/images.prothomalo.com/prothomalo-bangla%2F2021-04%2Fdfdcf697-2c88-4740-8dc6-30c0604113cd%2F1_1_2021_04_22T041857Z_1523330513_RC2S0N9RVX1O_RTRMADP_3_HEALTH_AUTISM_HONGKONG_ROBOTS.png?w=640&ssl=1)
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সামাজিক যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধিতে হংকংয়ে সামাজিক রোবটের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। হংকং ছাড়াও ম্যাকাওয়ে এ ধরনের রোবটের ব্যবহার শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সামাজিক এ রোবটগুলো অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের সামাজিক যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছে।
রোবটটির নাম রোবট ফর অটিজম বিহেভিয়ারেল ইন্টারভেনশন (রাবি)। এটি ৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের সামাজিক যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সংঘাতসহ বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে সাড়া দিতেও সহযোগিতা করে।
রোবটটি উদ্ভাবন করেছেন চায়নিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের মনোবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক ক্যাথেরিন সো। তিনি জানান, ২০১৫ সালে তিনি রোবটটি উদ্ভাবন করেন। এরপর ১ হাজার ২০০ জনের বেশি শিশু এটি ব্যবহার করেছে।
ক্যাথেরিন সো বলেন, ‘অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের সামাজিক যোগাযোগের দক্ষতা কম থাকে। আবার তারা নিজেদের চারপাশের পৃথিবীর ব্যাপারে অতিসংবেদনশীল। কাজেই আমরা সামাজিক রোবটের মাধ্যমে তাদের যোগাযোগের দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। পাশাপাশি এই রোবট অটিজম শিশুদের উদ্বেগ কমাতেও সহায়ক।’
সামাজিক এই রোবটগুলো অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগ করে, কথা বলে। বিশেষ এই শিশুদের বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে মূলত দুটি ছোট রোবট থাকে। এগুলো সামাজিক যেকোনো প্রেক্ষাপটের নকল করে কী ধরনের আচরণ করা উচিত, তা প্রদর্শন করে। এর মাধ্যমে শিশুরা যথাযথ ও অগ্রহণযোগ্য আচরণের পার্থক্য শেখে।
মুসে ওংয়ের (৪১) পাঁচ বছর বয়সী মেয়েও এ ধরনের রোবটের কাছ থেকে সামাজিক যোগাযোগ শিখেছে। মুসে ওং বলেন, তাঁর মেয়ে সাত মাস ওই কর্মসূচির আওতায় ছিল। এরপর তার সামাজিক যোগাযোগের দক্ষতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে এখন সামাজিক জীবনে অনেকখানিই সহজ।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের প্রথমে রোবট দিয়ে সামাজিক আচরণ শেখানো হয়। এরপর তাদের শিক্ষকের সঙ্গে ওই ধরনের আচরণে উৎসাহ দেওয়া হয়। হংকং ও ম্যাকাওয়ে সরকারি-বেসরকারি অর্থায়নে ২০টির বেশি অলাভজনক সংগঠন এ কর্মসূচি পরিচালনা করছে।