খবর পাখনা – সোমাদ্রি সাহা

0
big beige feather against white wall

নাটকের শেষ দৃশ্যে অস্ত্র হাতে সেলুকাস।
একটা চিঠি।
চিঠিটি অনেক কাল আগেই এসেছিল ডাকে,
প্রকাশ করা হয়নি এই নাটকের ভয়ে।
নাটক চলছে এখন চারিদিকে
সিংহাসনের। মসনদের শাসনের। ক্ষমতা ভোগের।
উপরে সাধু বেশ,
ভিতরে সামগ্রিক আকাঙ্ক্ষা।
সরল চরিত্রের পিছনে লুকিয়ে
কালো হাত। কালো বাজার।
নবান্ন নাটকের কথা, ফ্যান খাওয়া হাসি
শুকনো দেহ, হাত
সব যেন এগিয়ে আসছে চিঠি নিয়ে,
শেষ অস্ত্র।
আমি ভীত, সন্ত্রস্ত।
আমার শরীর জুড়ে এখন ভয়
সুন্দর প্রেমের শেষ দৃশ্যে
এই চিঠি কেন?
মিলনে শেষ করতে চাই
আমার নাটকের দৃশ্যটি, চিঠি তফাৎ যাও
চিঠি ঘুমিয়ে পড়ো আঁচলধানে,
এখন অন্য সময়
তুমি ফসিলস হয়ে যাও।
আমি জীবনের গান গাইব,
গান গাইব অনন্ত আদরের।

তুমি সেখানে প্রকাশ করো না
আমার ভালোবাসা মিথ্যা
আমার পুরোনো প্রেম
অতীতের রক্তকরবী
অতীতের বিশুপাগলা।

আমি এখন আচ্ছে দিনের পথিক,
আবার ফিরছি বাড়ি
পরিযায়ী শরীর নিয়ে
খামের ভিতর টাকা নিয়ে,

খামের মধ্যে চিঠি চাই না,
চাই না ডাকঘরের স্ট্যাম্প।
ওসব কেউ জমায় না আজকাল
আজকাল মানুষ সুখের ছবি জমায়
সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে,
শপথহীন দেওয়ালে কুৎসা লেখা হয়
যে যেটা জানে না,
সেটা নিয়েই প্রতিবাদ করে,
সঙ্ঘ গড়ে তোলে, সাধু হতে চায়।

চিঠি এতক্ষণে
কথা বলে উঠল,
বলে উঠল
নাটক, তুমি তো জীবনের প্রতিচ্ছবি
তুমি তো আসমুদ্রহিমাচল অর্থবহ
সমুদ্র দ্বীপ।
মানুষের ঘামকথা বলার জন্যই
তোমার জন্ম।
এসো বসো,
আমার শবদেহের পাশে।
হাসপাতালে বেড নেই
তবু বেড়েই চলেছে চুল্লী
চুল্লীর গন্ধ পাচ্ছো,
পাচ্ছো ব্যাকড্রপে কান্না শুনতে।
সামনের ঐ কালো মুখগুলো
অপেক্ষা করছে।
এসো আমায় এবার খুলে দাও
উন্মুক্ত করো পৃথিবীর সামনে
প্রজ্জ্বলিত হোক
ভবিষ্যতের আলো,
পুনর্জ্জীবিত হোক ভালোবাসা।
এসো,
গানে সুর তুলি বিশ্বপিতার কাছে
পঠিত হোক কুৎসিত হাতের লেখায়
বিশ্বজনীন বার্তা
শান্তির কথা
মোমবাতি হাতে কিশোরী
আর
এক জীবন্ত চুমু।

Leave a Reply

error: Content is protected !!