লক্ষ্য লাক্ষাদ্বীপ

0

সোমাদ্রি সাহা

ভারতবর্ষের অন্যতম সেরা সামুদ্রিক ডেস্টিনেশন লাক্ষাদ্বীপ। আরব সাগরের অবস্থিত এই দ্বীপটি ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এই দ্বীপের ভার্জিনিটি ও বিশালতার জন্য এটি আপনার কাছে হানিমুন ডেস্টিনেশনও হয়ে উঠতে পারে। লাক্ষাদ্বীপের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ফিরোজা নীলাভ জল, অদূষিত সমুদ্র-সৈকত এবং বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়েই জল-ক্রীড়া করতে পারবেন ও দেখতেও পারবেন, সান বাথ এবং সমুদ্রের নিজস্ব আকর্ষণ সহ ভারতের এক অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায় কেরালার উপকূল বা তটরেখা থেকে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে এই দ্বীপপুঞ্জটি অবস্থিত। লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জটি মোট প্রায় ৩২ বর্গ কিলোমিটার ভূমি এলাকা দ্বারা আবৃত রয়েছে। এখানকার প্রকৃতি ও বিশুদ্ধ সৌন্দর্য জীবনে একবার অন্তত দেখা উচিত সকলের। কাভারত্তি, , কাডমট, কিলত্তন, কালপেনি, আগত্তি, আমিনি, আন্দ্রোত, চেট্টলাট, মিনিকয় এবং বিত্রা এই দ্বীপগুলি নিয়েই লাক্ষাদ্বীপ।

এছাড়াও লাক্ষাদ্বীপে, ৫-টি জলমগ্ন প্রবাল-প্রাচীর এবং ১৭-টি জনবতিহীন দ্বীপপুঞ্জ এই ক্ষুদ্র দ্বীপটির সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। বঙ্গারাম দ্বীপটি হল একটি জনবসতিহীন দ্বীপ, যা তার আকর্ষণীয় সৈকতগুলির জন্য একটি স্বতন্ত্র্য পর্যটন স্থল রূপে গড়ে উঠেছে। এই সব স্থান প্রতিটি পর্যটককে পুর্নজ্জীবিত করে তোলে। নতুন করে বাঁচতে শেখায়।

আসলে যারা প্রকৃতিকে ভালোবাসেন এবং প্রকৃতির সমস্ত প্রতিকৃতির অন্বেষণ করতে পছন্দ করেন তাদের কাছে এটি এক যোগ্য গন্তব্যস্থল। লাক্ষাদ্বীপের বৃহত্তম পর্যটন আকর্ষণ হল এখানে আচ্ছাদিত আদিম সৌন্দর্য্যতা ও তাদের প্রকৃতির সবুজ নীলের পুরনো অস্তিত্ব। শহুরে কলরব ও বিশৃঙ্খলা থেকে বহুদূরে অবস্থিত এই লাক্ষাদ্বীপে আপনি কেবল সমুদ্র-সৈকতে আছড়ে পড়া তীব্র জল তরঙ্গ এবং শঙ্খচিল-এর আর্তনাদের আওয়াজই শুনতে পাবেন। শহুরে উন্মত্ততা থেকে আপনি এই দ্বীপপুঞ্জে এক অনাবিল অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে পারেন।

এই দ্বীপপুঞ্জে বেশ সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে; যেমন স্ক্যুবা ডাইভিং, স্নরকেলিং, কায়্যাকিং, ক্যানোয়িং, উইন্ডসার্ফিং, ইয়াচটিং এবং রোমাঞ্চ প্রেমীদের জন্য আরোও অনেক কিছু রয়েছে।

বিমানপথে

লাভাদ্বীপে যেতে হলে আপনাকে জাহাজে বা বিমানে যেতে হবে। যাদের সমুদ্রে নানা সমস্যা হয় তাদের জন্য বিমানই ভাল। তবে লাক্ষাদ্বীপ পরিদর্শনের জন্য পর্যটকদের এই দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করার অনুমতি পত্র সংগ্রহ করতে হবে। কেরালার রাজধানী কোচি (কোচিন্) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং এটি প্রায় ভারতের সমস্ত প্রধান শহরগুলির সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। কোচি থেকেই আগত্তি পৌঁছাতে পারেন বিমানে। আগত্তি বিমানবন্দর হল একমাত্র বেসরকারী অন্তর্দেশীয় বিমানবন্দর যেটি লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপূঞ্জ থেকে পরিচালিত হয়। আগত্তি দ্বীপের সান্নিধ্যে গেলে দর্শকেরা তার উপর থেকে এয়ারস্ট্রীপ (বিমান ওঠা-নামা করার স্থান)-এর এক আশ্চর্যজনক বায়বীয় দৃশ্য দেখতে পাবেন। আগত্তি বিমানবন্দর থেকে হেলিকক্টার পরিষেবা উপলব্ধ রয়েছে, যা কেবলমাত্র বর্ষার সময়ে লাক্ষাদ্বীপ বিমানবন্দর থেকে বঙ্গারাম আইল্যান্ড রিসর্ট এবং সারাবছর ধরে কাভারত্তি দ্বীপ পর্যন্ত যাতায়াত করে।

সমুদ্রপথে

লাক্ষাদ্বীপে আপনারা জাহাজেও যেতে পারেন। বেশ কিছু সংখ্যক যাত্রীবাহী জাহাজ কোচি (কোচিন্) থেকে লাক্ষাদ্বীপ পর্যন্ত রয়েছে। এই দূরত্ব যেতে প্রায় ১৮ থেকে ২০ ঘন্টার কাছাকাছি সময় ভ্রমণ করতে হতে পারে। এই জাহাজগুলি এক উচ্চমানের থাকার ব্যবস্থা ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তবে বর্ষাকালে সময়ে জাহাজ পরিষেবা বন্ধ থাকে। কোচি থেকে লাক্ষাদ্বীপ জাহাজ ভ্রমণের আনুমানিক খরচ হল ভারতীয় অধিবাসীদের ক্ষেত্রে ভারতীয় মূল্যে প্রতি জনের প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা, অন্যদিকে বিদেশীদের জন্য এটি ভারতীয় মূল্যে প্রায় ২০০০ টাকা।

সমুদ্র-সৈকত

লাক্ষাদ্বীপ আসলে সমুদ্র-সৈকত ও প্রবালের এক বদ্ধ-ভূমি। এখানে আপনি সাদা ও উজ্জ্বল বালুকাময় সিবীচের দীর্ঘ প্রসারণ দেখতে পাবেন। অবশ্যই আপনাকে স্নান বাথের হাতছানি দেবে। এখানে আরাম ও সূর্যাস্ত উপভোগ করতে আসা সকলের উদ্দেশ্যে এই আকর্ষণীয় সমুদ্র-সৈকতটি অনেক কিছু নিয়ে আপনার জন্যই অপেক্ষা করছে। আপনি ভিড় কোলাহল থেকে দূরে একান্তে থাকতে চাইলে এটি একটি বিশিষ্ট স্থান। এই উপহ্রদগুলিতে নিরলসভাবে সময় কাটানো, বিভিন্ন পাখিদের পর্যবেক্ষণ করা এবং বাতাসের সুরে নারকেল গাছের হাওয়া উপভোগ করার জন্য আদর্শ স্থান। পান্না মিশ্রিত সবুজাভ জল অবাক করা বীচ ফটোগ্রাফিতে সাহায্য করবে এবং এই জলে সাঁতার উপভোগ করার মতোই বিষয়। এই সমুদ্র-সৈকতে এঞ্জয়মেন্টের জন্য রয়েছে নানা ওয়াটার গেম। এছাড়াও, সারা দ্বীপপুঞ্জটি জুড়ে আচ্ছন্ন থাকা প্রবালের দৃশ্য দেখার অনুভূতিও বেশ আকর্ষণীয়। এই আকর্ষণীয় ও বর্ণময় প্রবাল এই স্থানকে স্বাতন্ত্র্য করে তুলেছে।

কাভারত্তি

লাক্ষাদ্বীপের কাভারত্তি দ্বীপেটি সুন্দর লেগুন বা উপহ্রদ রয়েছে। কাভারত্তি দ্বীপটি সান্-বাথের জন্য খুবই ভাল। এই দ্বীপটি শান্ত ও বিস্ময়কর উপহ্রদের জন্য বিখ্যাত, যা জল-ক্রীড়া, স্নোর্কেলিং ও সুইমিংয়ের জন্য আদর্শ স্থান। স্ক্যুবা চালকদের জন্য, দ্য ডলফিন ডাইভ সেন্টার ক্রীড়ার জন্য আদর্শ স্থান। স্ক্যুবা ডাইভিং, স্নরকেলিং, কায়্যাকিং, ক্যানোয়িং, উইন্ডসার্ফিং, ইয়াচটিং প্রভৃতি তো অ্যাডভেঞ্চারের জন্য আপনাকেই ডাকছে। এছাড়াও এই স্থানে জলজ জীবনের প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সামুদ্রিক আ্যকোরিয়ামও রয়েছে।

মিনিকয়

অর্ধচন্দ্র আকৃতির এই দ্বীপপূঞ্জে এই অঞ্চলের এক অন্যতম বৃহৎ লেগুন বা উপহ্রদ রয়েছে। এখানে এক ক্রান্তীয় মালদ্বীপিয় চরিত্রের প্রতিরূপতা বিদ্যমান। এই দ্বীপের উল্লেখযোগ্য মিনারটি হল ১৮৮৫ সালের নির্মিত লাইট-হাউস (বাতিঘর বা আলোকস্তম্ভ)। পর্যটকদের থাকার জন্য এই দ্বীপে কটেজ রয়েছে। মিনিকয় দ্বীপের উপহ্রদগুলি হল লাক্ষাদ্বীপের দীর্ঘতম উপহ্রদ। এই দ্বীপের সৈকতগুলিতে স্নানের জন্য কটেজ, চেঞ্জিং রুম এবং জল-ক্রীড়ার জন্য জল খেলার সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। কাডমটের দীর্ঘ বালুকাময় লাক্ষাদ্বীপ সৈকত হল রৌদ্র-স্নানের জন্য আদর্শ স্থান। এটি যোগ্য জল-ক্রীড়ার এক সুন্দর অগভীর উপহ্রদের জন্য ঋণী হয়ে থাকে। এই সমুদ্র-সৈকতে নারকেল গাছের উপবন বরাবর বেশ কিছু পর্যটনের কুটীর মতো করা রয়েছে। দূরত্বের এই স্থানে ভীড়হীন প্রকৃত ছুটি কাটানোর জন্য পরম শান্তিময় স্থান।

আগত্তি দ্বীপ

আগত্তি দ্বীপ বা “লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জের প্রবেশপথ”- বিমান বন্দরের উপস্থিতির কারণে এটি পশ্চিম কিনারায় নারকেল গাছের পাড় সমৃ্দ্ধ এক সুস্থির সমুদ্র-সৈকত, যা প্রকৃতপক্ষে লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জে প্রকৃতির এক অনন্য ভান্ডার। এটি প্রবাল-দ্বীপের উত্তেজনাপূ্র্ণ দৃশ্য আপনার ক্যামেরায় বন্দী হবেই। দ্বীপের সুন্দর সুন্দর উপহ্রদগুলি বিভিন্ন প্রকারের জলক্রীড়া রয়েছে যেমন ক্যানোয়িং, স্নোর্কেলিং এবং কায়াকিং। একটি ক্ষুদ্র জনবসতিহীন দ্বীপ, বঙ্গারাম – নারকেলের শামিয়ানা, সমস্ত আকৃতি ও বর্ণের মাছ এবং বর্ণময় নৌকা সহ একচেটিয়া পর্যটন স্থল। পর্যটকেরা চমৎকার ক্রিয়াকলাপে নিজেদের ইচ্ছাপূরণ করতে পারেন; যেমন – গভীর সমু্দ্রে মাছ-ধরা, র‍্যাফটিং, স্ক্যুবা ডাইভিং ও স্নোর্কেলিং এবং আরও অনেক কিছু। এই দ্বীপটি কেবলমাত্র দিনের বেলায় শুধু বিদেশী পর্যটকদের জন্য খোলা থাকে।

কালপেনি

অপরূপ ক্ষুদ্র দ্বীপটি যদিও জনবসতিশূন্য তাহলেও এখানে একটি বিশাল অগভীর লেগুন বা উপহ্রদ রয়েছে। কালপেনির এই শহর আজও গর্বিত হয়ে রয়েছে কারণ এটি সেই জায়গা যেখানে ভারতের মেয়েরা শিক্ষার জন্য সর্বপ্রথম বিদ্যালয়ে যাওয়া শুরু করেছিলেন। কালপেনি শহরের মঈদিন মসজিদ হল এই দ্বীপপুঞ্জের এক অন্যতম জনপ্রিয় বিশিষ্ট স্থান।

কাডমট

এটি সান-বাথ ও ওয়্যাটার স্পোর্টস (জল-ক্রীড়া)-র জন্য আদর্শ স্থল। এই দ্বীপটি সামুদ্রিক সম্পদের দিক থেকে খুবই সমৃদ্ধ বলে মনে করা হয়। কাডমট-এ ভ্রমণকারীদের জন্য স্ক্যুবা ডাইভিং, স্নরকেলিং এবং সুইমিং-য়ের বিকল্প রয়েছে।

বঙ্গারাম

জনবসতিহীন এই দ্বীপটিতে অনেকরকমের সমুদ্র-সৈকত ও সুন্দর সুন্দর লেগুন বা উপহ্রদ রয়েছে। এই সুন্দর দ্বীপটি সমস্ত মানসিক উদ্বেগ ও যন্ত্রণার উপশমে এক বিশাল সুযোগ করে দেয়।

খাদ্য

লাক্ষাদ্বীপের অধিকাংশ খাবারই দক্ষিণ ভারতীয় রন্ধনপ্রণালী থেকে অনুপ্রেরিত হয়ে রান্না করা হয়। আপ্পাম, ধোসা, ইডলি ইত্যাদি খাবার যেমন সাধারণভাবে প্রাতরাশ (ব্রেকফাস্ট)-এর জন্য পছন্দ করা হয়। বাঁধাকপি, পীরা, ওলান, পারিপ্পু তরকারি, ইডিমাস ইত্যাদি মধ্যাহ্ন-ভোজনে খাবারের বিকল্প রূপে ব্যবহৃত হয়। এই দ্বীপপুঞ্জটি অতীতে মুসলিম শাসকদের দ্বারা শাসিত হওয়ার দরুণ যে কেউ এখানে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে বিভিন্ন আমিষ জাতীয় সু-স্বাদু খাবার যেমন কোঝি মশালা, ইরাচি ভারুথাথু ও চিকেন কারিও পেতে পারেন।

ভ্রমণের সেরা সময়

যদিও লাক্ষাদ্বীপের আবহাওয়া সারা বছর ধরেই মনোরম থাকে কিন্তু এই স্থানে ঘুরতে যাওয়ার সেরা সময় হল অক্টোবর থেকে এপ্রিলের মধ্যে। এখানকার তাপমাত্রা সাধারণত ৩০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড অতিক্রম করে না।

লাক্ষাদ্বীপে কেনাকাটা

লাক্ষাদ্বীপ ঠিক কেনাকাটার স্থল নয়। মানুষজন এই দ্বীপে খুব বেশি কেনাকাটার জন্য আসে না, অবকাশের সময় কাটানো এবং জনপ্রিয় জল-ক্রীড়া স্ক্যুবা ডাইভিং-য়ের জন্য এখানে আপনি যেতে পারেন। আপনি যদি তবুও এখানে কেনাকাটা করতে আগ্রহী হন তবে আপনি কিছু স্মারক নিয়ে আসতে পারেন যা এখানে আপনার ছুটি কাটানোর ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখবে।

লাক্ষাদ্বীপ-এ কেনাকাটা করার দ্রব্য

  • সমুদ্রিক দ্রব্যে নির্মিত কৃত্রিম গহনা
  • সুন্দর আ্যকোয়ারিয়াম
  • রেডিমেড মাছ বিস্কুট
  • নারকেল খোলার দুর্লভ শৈল্পিক বস্তু
  • কচ্ছপের খোলা দ্বারা নির্মিত গৃহ-সজ্জার বস্তু
  • ঝিনুক প্রভৃতি।

ভ্রমণের উপদেশ

· লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জে ভ্রমণের সময় আপনি কোন জায়গায় যাবেন, তার সঠিক পরিকল্পনা নিশ্চিত করুন, যেহেতু এই দ্বীপপুঞ্জে ভ্রমণে অনুমতি পত্রের প্রয়োজন হয় এবং যার প্রক্রিয়াকরণে অন্তত দুই দিন সময় লাগে।

· মরশুমে আপনি যদি এখানে আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তবে এই সময় দ্বীপপুঞ্জে থাকার জায়গা পাওয়াটা এক কঠিন বিষয়। সুতরাং, এখানে ভলোভাবে থাকার জন্য আপনি অগ্রিম কোন থাকার জায়গার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে নিন।

· যেহেতু এই দ্বীপপুঞ্জগুলি বেশিরভাগই প্রায় জনবসতিহীন তাই রাত্রিবেলায় দ্বীপপুঞ্জগুলিতে ভ্রমণ করবেন না। আপনি এখানে হারিয়ে যেতে পারেন বা চোর-বাটপাড়ের অবাঞ্চিত নজরের সম্মুখীন হতে পারেন।

হোটেল

পর্যটকদের থাকার জন্য বিস্তৃত পরিসরের বিকল্প নেই। তবে, বঙ্গারাম দ্বীপে, বেশ কিছু জনপ্রিয় রিসর্ট ও হোটেল রয়েছে। এখানে আপনি প্রাকৃতিক উপকরণে নির্মিত এবং পরিবেশ-বান্ধব অনেক সুন্দর কটেজ দেখতে পাবেন। এছাড়াও আপনি কাভারত্তি ও অন্যান্য জায়গায় থাকার জন্য হোটেলও নিতে পারেন। এখানে থাকার জন্য সরকার-চালিত কুটীর ও হোটেলও এক ভালো বিকল্প রূপে বিদ্যমান।

রিসর্ট

প্রতি বছর পর্যটকদের অনুসারে এখানে অনেক নতুন হোটেল ও লজ গড়ে উঠছে। এই হোটেলগুলি বিভিন্ন বাজেটের পর্যটকদের চাহিদা পূরণের পরিকল্পনায় তৈরী করা হয়েছে।

এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অধিকাংশ হোটেলগুলির অবস্থান খুবই সুন্দর। আপনার হোটেলের জানলা থেকে পরিদর্শনীয় সমুদ্রের নীলাভ জলের গভীরে সবুজ গাছপালার দৃশ্য, এই দ্বীপপুঞ্জটিকে পর্যটকদের স্বর্গ্যোদান হিসাবে বিবেচনা করার পিছনে কারণ ব্যাখ্যা করার দরকার হবে না। হোটেলগুলি আধুনিক ও পরিকল্পিত। যারা বিলাসিতার ছুটি কাটাতে ইচ্ছুক তাদের জন্য শোভনীয় হোটেল অপেক্ষা করছে। তাহলে এই পুজোতে আপনার পারফেক্ট ডেস্টিনেশন হয়ে উঠুক লাক্ষাদ্বীপ।

ঋণস্বীকার গুগুল

Subscribe to my YouTube Channel

Leave a Reply

error: Content is protected !!