৭২ ঘন্টা পর – সোমাদ্রি সাহা
১.
রিপোর্ট আসতে আসতে বাহাত্তর ঘন্টা
ততক্ষণে দুর্বল চোখে ঝাপসা আলোয়
খুঁজে নিচ্ছি ডাইনোসরের ডিম।
ওখানেই লুকিয়ে পূর্ব জন্মের সন্তানঘ্রাণ।
২.
শরীর দিচ্ছে না, তবু গ্যাসের সামনে
মনে হচ্ছে চিতাকাঠ জ্বলছে।
কী পেলাম জানি না,
তবে মৃত্যুর ঘ্রাণ অনেকবার স্পর্শ করেছি
নদী জন্মের উষ্ণতায়।
৩.
বন্ধুর শরীর খারাপ, নার্সিংহোমে
সেই কষ্ট শ্বাসের উপদ্রব।
ছিন্নভিন্ন ফুসফুস,
তবু দ্যাখো আমি হাসছি,
আর কতই বা ছিন্নভিন্ন করবে তুমি।
৪.
শোষণ করেই চলেছো
আমার শরীরও এখন দুর্বল।
একটা কথাই ভাবি
মনের ক্ষতগুলো যদি
জিংক আর ভিটামিন সারিয়ে দিতো
আমিও ভিক্টোরিয়ার পরি হতাম।
৫.
যাক ডাউনলোড হয়ে গ্যাছে
এবার মরেও শান্তি।
সেই মরার আবার নতুন করে মরা
কেন জন্মেছিলাম,
সে সব লক্ষ্য আর সংকল্প ভেসেছে
তুলি রঙের সাথেই নদীর জলে।
এখন আমার ভূত কথা বলে
ভূতের সাজই পছন্দ পৃথিবীর
আমার কষ্টে পৃথিবীর কতই না কান্না,
মরার পর সবাই রিপ লিখবে।
আমি কী বলব তখন!
বিপ।
৬.
একটা কাজের লোক নেই পৃথিবীতে।
সব কাজ আমাকেই করতে হয়
আর শয়তানের চোখ শঙ্খচিল দ্যাখে।
আচ্ছা, আমি তো কবি
তাহলে ঐ শয়তান ফুলের সুবাস
শিশুর হাসিতে আনন্দ পায় কেন?
আসলে শয়তানও মানুষ
কবিতার আত্মজ।
টুকরো ছবির আল্পনা। ভাল হয়েছে।
বড় সত্য কথা লিখছিস সোমাদ্রি। তোর কবিতায় বেঁচে থাকবে কবিতামেলা🌹🌹