ফেলুদা ফেরত তো এলেন, কিন্তু…
অনলাইন ডেস্ক :
ছিন্নমস্তার অভিশাপ: আড্ডা টাইমসের ওয়েব সিরিজ৷
পরিচালনা: সৃজিত মুখার্জী ৷
ছবিটির বা গল্পটির নাম ছিন্নমস্তার অভিশাপ কেন, সেটা কখনোই বুঝে পাই নি৷ ছবিতে শাখা এবং প্রশাখা দুইই দৃশ্যমান ৷ নয়তো যাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র সদ্ভাব নেই তারা পঞ্চাশ মাইল উজিয়ে নদী পার হয়ে দু’জন বৃদ্ধকে নিয়ে বার্থ ডে সেলিব্রেশনে পিকনিকে চললেন কেন?
বড় ছেলের বাবাকে রাগিয়ে দিয়ে খুন করার চেষ্টা অভিনব৷ আর ছোট ছেলের টেপ রেকর্ডারটি অলৌকিক ৷
মহেশ বাবুর চন্ডাল রাগের সাথে তার হেঁয়ালিপ্রিয় রসিক চরিত্র মেলানো যায় না ৷ হেঁয়ালিগুলো বড়ই মামুলি ৷
একটা ছোট ছেলে কর্নেল সুরেশ বিশ্বাসের জীবনী পড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে সার্কাসে যোগ দিলো৷ খুব কষ্ট কল্পনা ৷ সার্কাসটা দেখে মুগ্ধ হওয়ার খেলা, পড়ে এতটা অনুপ্রাণিত হওয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা নেই ৷
ছোট ছেলে নিজের কাজ নিয়ে মিথ্যে বলার জন্য বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবার মুখে আর মেজ ছেলে যে নিজের বিদেশে থাকা নিয়ে, পেশা নিয়ে বাবাকে ঠকিয়ে গেলো, সেটা অপরাধ নয়?
বাঙালি হিরোর অনুপ্রেরণায় সার্কাসে নেমে বীরেন নিজের নাম, ভাষা, পিতৃ পরিচয় ত্যাগ করে মারাঠি কেনো হলো? বাঙালি থাকতে ক্ষতি কী ছিল?
ময়ূখ চৌধুরীর ছবিতে গল্প ‘বঙ্গদেশের রঙ্গ’ পড়া থাকলে ক্লাইম্যাক্স দৃশ্যটা ( সুরেশ চৌধুরীর সার্কাস থেকে পালানো বাঘ ধরা) চেনা লাগবে৷
থীম মিউজিক বিরক্তিকর, ওটার কিছু একটা করা দরকার ৷
বাঙালির ভুল ইংরেজি/ হিন্দি বলা নিয়ে এতোটা খিল্লি কতটা দরকার ৷ আর শুরুতে প্রদোষ সি মিটার শুনলে মিটার ডাউন হয়ে যায় ৷
সৃজিত বাবু বাঙালির রক্ষণশীল মানসিকতাটা মনে রেখে মূল গল্পকে অনুসরণ করেছেন ৷ সত্যজিৎ বাবু হলে কখনও করতেন না ৷
অভিনয় বলতে ধৃতিমান ভট্টাচার্য আর অরুণ গুহ ঠাকুরতা ৷ টোটা রায় চৌধুরী এমনিতে ভালো অভিনয় করেন, কিন্তু সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নকল করার চেষ্টায় ছায়া হয়ে গেলেন ৷ জটায়ু যদি বিভু বাবুর চেয়ে ভালো, তবু টাক থাকলেই সন্তোষ দত্ত হওয়া যায় না ৷ তোপসে না থাকলেও ক্ষতি ছিল না ৷