মেসির বিলাসবহুল বিমানে কী আছে

0

২০১৮ সালে বিমানটি ভাড়া করেছিলেন লিওনেল মেসি। নিজের পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে গোটা দুনিয়া চষে বেড়ানোর জন্যই বিমানটি নিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে বিমানটি কিনেই নেন এই আর্জেন্টাইন সুপার স্টার।


এ লাক্সারি উড়োজাহাজ কিনতে মেসিকে গুনতে হয়েছে ১৫ মিলিয়ন ইউরো।
প্রায় ১৪০ কোটি টাকার বিমানে কী নেই, বিলাসবহুল বিমানটিতে সুবিশাল বসার জায়গা আর স্নানাগার তো আছেই, আছে রান্নাঘর আর কনফারেন্স রুমও,  আর ১৬টা পুরু গদি-আঁটা চেয়ার। যেগুলোকে দিব্যি ভাঁজ করে ফেলাও যায়। আর তা করলেই সেগুলোকে ব্যবহার করা যায় আটটি বিছানা হিসেবে!
প্রতিটা সিটের সামনে লাগানো এলইডি স্ক্রিন। আকাশ পথে যেতে যেতে পছন্দের সিনেমা বা কার্টুন দেখা যায় যাতে।


তবে উড়োজাহাজটিকে আর সবার চেয়ে আলাদা করে তোলে তার বাইরের দিকের নকশা। বিমানের বাইরে এমনভাবে এক নকশা করা, যাতে সহজেই বোঝা যায় এই বিমানের মালিক কে।

সাদা-রঙা আকাশযানের লেজে বেশ বড় করে লেখা ১০ সংখ্যাটি। লিওনেল মেসির সঙ্গে দশ নম্বর জার্সির সম্পর্ক তো এ গ্রহে সর্বজনবিদিত। বার্সেলোনা বা বুয়েনস এইরেসের বিমানবন্দরের ওপর দিয়ে এই বিমান উড়ে এসে রানওয়ে ছুঁয়ে ফেললেই যে কেউই বুঝে নেবেন মাটিতে এবার কার পা পড়তে চলেছে!


বিমানের সিড়িতে খোদাই করা আছে তার স্ত্রী রোকুজ্জু আন্তোনেল্লা ও তার তিন সন্তান থিয়াগো, মাতেও আর কিরো মেসির নাম। এ বিমানে চড়েই বার্সেলোনা থেকে আর্জেন্টিনায় যাত্রা হয় তার, যুক্তরাষ্ট্রে ছুটিতেও এ বিমানই হয় তার সঙ্গী। এ বিমানে করেই এবার কোপা আমেরিকা আর বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে আর্জেন্টিনায় পা রেখেছেন মেসি, সঙ্গে ছিলেন সতীর্থ রদ্রিগো দে পল। লক্ষ্য যে কোপা আমেরিকা জেতা, তা বলাই বাহুল্য।


আগামী ১৩ জুন শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্ট আবার অনুষ্ঠিত হবে তার দেশ আর্জেন্টিনাতেই। ২০১১ সালে নিজের দেশের আসরে শেষ আটেই ভেঙেছিল মেসিদের শিরোপা স্বপ্ন। এবার আবার নিজের দেশে মেসি ট্রফি খরা কাটাতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।

Subscribe to my YouTube Channel

Leave a Reply

error: Content is protected !!