১০ লাখ ডলারের পুরস্কার: কপালে থাকলে ঠেকায় কে!
যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী লটারি কিনেছিলেন। তার পুরষ্কার ১০ লাখ ডলার। কিন্তু তিনি ওই টিকেটটি ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। তবে ওই যে ভাগ্যে থাকলে ঠেকায় কে! তিনি যে স্টোর থেকে ওই টিকেটটি কিনেছিলেন সততার পরিচয় দেন তারা। তারাই তাকে পুরস্কার পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। ফলে তিনি জিতে নেন ১০ লাখ ডলারের পুরস্কার। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। এতে বলা হয়, ম্যাচাচুসেটসের লিয়া রোজ ফিয়েগা নামের ওই নারী সাউথউইকের লাকি স্টপ স্টোর থেকে ৩০ ডলারের ডায়মন্ট মিলিয়ন্স স্ক্র্যাচ-অফ টিকিট কিনেছিলেন।
তার ভাষায়, লাঞ্চ ব্রেকের সময় আমি এই টিকেটটি স্ক্র্যাচ করলাম। মনে হলো আমি জিতিনি। ফলে এটা ফেলে দিই। কিন্তু ওই টিকেটটি কাউন্টারের ‘বিন’-এ থেকে যায় ১০ দিন পর্যন্ত। স্টোরটির মালিকের এক ছেলে অভি শাহ এক সন্ধ্যায় ময়লার বিন থেকে ফেলে দেয়া জিনিসপত্র নিয়ে পরীক্ষা করতে থাকেন। তিনি পেয়ে যান ফিয়েগার ওই টিকেট। তাতে দেখতে পান লিয়া রোজ ফিয়েগা ওই লটারি ঠিকমতো স্ক্র্যাচ করেননি। অভি শাহ বলেন, আমি টিকেটটি স্ক্র্যাচ করলাম। তাতেই কেল্লাফতে! দেখি এই টিকেটই জিতে নিয়েছে ১০ লাখ ডলার। যেহেতু ফিয়েগা আমাদের নিয়মিত কাস্টমার ছিলেন, তাই আমরা বুঝতে পারি কে এই টিকেটটি ফেলে গেছেন। ফলে আমি কর্মক্ষেত্রে ফিয়েগাকে খুঁজতে যাই।
ফিয়েগার কাছে অভি শাহের উপস্থিতি সম্পর্কে ফিয়েগা বলেন, তিনি আমার অফিসে এলেন এবং বললেন- ‘আমার বাবা-মা আপনার সাথে সাক্ষাৎ করতে চান।’ জবাবে আমি বললাম- আমি তো এখন কাজ করছি। এ কথা শুনে অভি বললেন, না, আপনাকে এখনই যেতে হবে। ফলে তার সঙ্গে তার পিতামাতার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলাম। তারপর তারা প্রথম আমাকে এই খবর দিলেন। বললেন- তুমি ১০ লাখ ডলারের পুরস্কার জিতেছ। প্রথমে আমি এটা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। কিন্তু তারা টিকেট সামনে ধরলেন। যখন দেখলাম হ্যাঁ, তাইতো! সত্যিই তো এই টিকেট জিতেছে ১০ লাখ ডলার। তখন আমি আনন্দে চিৎকার করলাম। আনন্দে এভাবে বুকফাটা চিৎকার করা যায় আমি জানতাম না। তাদেরকে আবেগে জড়িয়ে ধরলাম।
ফিয়েগা জানুয়ারিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তিনি এখন ১০ লাখ ডলারের পুরস্কার বিজয়ী। ফলে তিনি এখন দ্বিতীয় জীবন ফিরে পেয়েছেন। ফিয়েগা বলেন- এই পুরস্কার ওই স্টোর কর্তৃপক্ষ নিজেরা গায়েব করে দিতে পারতো। কিন্তু তারা আত্মসংযম করেছেন। তারা মহান মানুষ। আমি তাদের আশীর্বাদে ধন্য। এ জন্য ওই পরিবারকে তিনি মূল্যবান পুরস্কার দিয়েছেন।