কবিতার মেলা ও ঋতুযান
যেখানে কবিতার জন্যই অমরত্বকে উপেক্ষা করা যায় অবলীলায়…
কবিতার বাংলা ভাষার প্রতি বদ্ধপরিকর। আসলে আমরা রোজ বাঁচার স্বপ্ন দেখি, ভালোবাসার জন্যই আবিস্কার করা কবিতার নতুন সফর।
বই নয় স্বপ্ন বানাই
না পাওয়া জীবনের সব পাওয়ার কথাদের ধরে রাখতেই এই প্রকাশনা সংস্থার অনলাইন প্রকাশ। আরও বেশি করে ছন্দ খুঁজে পেতে চাই এই একাকিত্বের পৃথিবীতে। আমরা তাই মৃত্যুর ভয় জমিয়ে জীবন তৈরি করি মেলাময়।
আইএসবিএন সহ যত্নসহকারে মৌলিক বই প্রকাশ করে ঋতুযান পাবলিকেশন। আপনার লেখক সত্তাকে আরও প্রকাশ করার জন্য চাই প্রচার। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং-এর জন্য আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করতে আজই যোগাযোগ করতে পারেন।
সোশাল মিডিয়াতেও আমাদের দেখতে পারেন নিচের আইকনে ক্লিক কর
কবিতার মেলার সংকলন
প্রতি বইমেলায় কবিতা সংকলন প্রকাশের এক ঘরানা একের দশকে শুরু করার পড়ে আমরা গদ্য সংকলন প্রকাশ করেছি। প্রকাশিত হয়েছে গল্প এক্সপ্রেসের মতো অনবদ্য বই। সংকলনের বইগুলি সমাদৃত হয়েছে। তাই কবিতা পাড়ায় নতুন করে আবার স্বপ্ন দেখতে ভালোই বাসি।
ঋতুযান পাবলিকেশন
কবিতার মেলার সংকলনের পরে আমরা পাবলিকেশনের পথেও প্রায় চল্লিশটি মুদ্রিত বই প্রকাশ করেছি। লক ডাউন পরবর্তী সময় আরও কিছু মুদ্রিত বইয়ের প্রস্তুতি চলছে।
আমরা আমাজন-এর মাধ্যমে বই ডেলিভারির ব্যবস্থা আগেই করেছিলাম। এখন আমরা ই-বুক প্রকাশ করছি। সাথে গুুগুল প্লে বুকসে ও কিন্ডেল বুকসে আমাদের ই-বই সংস্করণগুলি সহজেই পাবেন।
আমাদের ভাবনা : বুক পকেটে স্বপ্নদের রাখি
২০১৫ সাল থেকে আমাদের পথ চলা শুরু। প্রথমে কবিতার মেলার হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ দিয়ে শুরু হয়। তারপর প্রকাশিত বইয়ের জগতে আমরা পথ হাঁটতে শুরু করেছি।
সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের কবিতার মেলা ঋতুযান ইউটিউব চ্যানেল | এলো প্রাণের দ্বারে | নতুন ভাবনায় দুর্গা কথা
ঋতুযানের অদ্ভুত গল্প শুনতে হলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন ইউটিউব চ্যানেলটি
আইএসবিএন সহ আমাদের কয়েকটি নতুন বই যা পাঠকের খুব কাছের
শরীর ঘিরে প্রজাপতি
মৌসুমী রায়ের অনবদ্য এক উপন্যাস, ইচ্ছা নদীর কাথারা উপন্যাস যেখানে শেষ হয়েছিল, এই উপন্যাসের কলম সেখান থেকেই শুরু। আপনারা একবার বইটি হাতে তুলে নিলে তা আর রাখতে পারবেন না। এই উপন্যাসের ভিতরে রয়েছে যেমন গতি, তেমনই রয়েছে প্রেম। ভালোবাসার টানাপোড়েন। আর তার চেয়েও বেশি এক অজানা সত্য ঘটনা কারণ লেখক শেষে লিখেছেন, সব চরিত্র কাল্পনিক নয়।
খিল্লির বাঁ পাশের গলি
মনের গভীর কান্নারা লুকিয়ে থাকে, সেই সব কান্নারা খিল্লি হয়ে যায় সামাজিক যাপনে। সেই ডান পথ ধরে চলা বাঙালি জীবনের কিছু কথাই প্রকাশিত হয়েছে এই বইয়ে। পাতার গন্ধে লেগে রয়েছে স্মৃতিকাল, বনেদিয়ানার গ্রামবাংলা। রয়েছে শহরের রাজনীতি থেকে সমাজ জীবন, অন্তসলীলা এক ভালোবাসার কথা। জড়িয়ে থাকা ইতিহাস ও রাজনৈতিক শপথ। সবই মিলে মিশে এক অনবদ্য মেলা প্রাঙ্গনে এসে দাঁড় করিয়ে দ্যায় পাঠককে। সেই প্রাঙ্গন থেকে হাতে তুলে নিতে হয় দেবব্রত সান্যালের বইটি। যতনে। খুব আস্তে করে।
প্রবুদ্ধ গাড়োল
অতিরিক্ত মেকআপ করে যে ফটো তুলছে অথবা ফুটপাতে নিজের কম্বলবাসা হলেও যে পোষ মানিয়েছে বদ্রিপাখির দলকে খাঁচায়, সেও কী জানে এ শহরেই একদল মানুষ কবিতা লিখলে তা পড়া হয় ম্যানহ্যাটনে। আসুন সেই কবিতার বই হাতে তুলেনি। শহরটা হয়তো গ্রামের, গ্রামের স্বপ্ন হয়তো শহরের মেট্রো রেল বা ইকোপার্ক। কিন্তু কিছু পাগলের দল তো সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কবিতার জন্যই বেঁচে থাকে। মারপিট করে একটা কবিতার লাইন বা সারাংশ বোঝার জন্য। সে সব কবিতার কথা বুঝতে হলে তরুণ কুমার গিরির এই বইটি আপনাদের সকলকে সংগ্রহ করতেই হবে।
মৌলিক বই নয় আমরা যত্নের সাথে স্বপ্ন তৈরি করি
স্মৃতি বিস্মৃতি
স্মৃতির কথারা বিস্মৃতি হয় না। সেই যে স্কুলে দুধ দেওয়া হতো, ভূত নাকি বাস করে রাইটার্সে। কত কিছু তো কলকাতার ফুটপাথ ও গাছেরা জানে। আর জানে কিছু মানুষের মন। সে মনে লুকিয়ে থাকে ভালোবাসার গোলাপ বাগান। একটা ছোট্ট টেডি বিয়ার বলে, তোমার পুরোনো বেলারা সুন্দর ছিল। গৌতম দত্তের অন্যতম কাজগুলি একত্রিত হয়ে প্রকাশিত হয়েছে স্মৃতি বিস্মৃতি গ্রন্থে। এখন পাঠক কতটা ভালো বলে সেই প্রয়াস গ্রহণ করবে, সেটাই দেখার। কারণ সকলের তো ইতিহাস আছে। ছোটবেলার ইতিহাস। কলেজ জীবনের থেকে অফিসকালীন নানা দ্রোহ। বিদ্রোহ। আসুন সে সব রোমন্থন করব বলেই হাতে তুলেনি আজ। এক স্মৃতিকথা নয়, এক জীবন্ত ইতিহাসের দলিল।
বৃষ্টি সাহস জাগছে শরীর
মন কতটা কথা বলতে পারে কলমের সাথে তা হয়তো বৃষ্টি জানে। জানে সময় কথারা। কথার শেষে আবার মিনিট সেকেন্ডের জীবন দৌড়। বড্ড ছুট চলতে থাকে এক আয়ুপথের অলিতে গলিতে। প্রচন্ড অন্ধকার রাত ডেকে আনে ঘুম, ঘুম থেকে তৈরি হয় অসম্ভব যন্ত্রণা। যন্ত্রণাই ভোর নিয়ে আসে। সেই ভোর মুক্তির কথা বলে। মুক্তির আনাচে কানাচে সাহস জেগে ওঠে। সেই সাহস দ্যায় কবিতা। কবিতার এক অনন্য সীট রয়েছে এই অটোতে। অটো এখন ফিরছে। ফিরছে আপনার মনের বাসায়। সেই বাসায় স্থান দেবেন নাকি সুচেতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতাগুলিকে…
তর্পণ
এক রাত এমন করেই হয়তো তারারা খসেছিল। হয়তো রোজই তারারা খসে যায়। তবু কবি লিখে চলে তর্পণের কথা। মা বাবার আশ্রয় নিয়ে বেঁচে থাকার কথা। জীবন্ত এক আগ্নেয়গিরির ভিতর দাঁড়িয়ে স্বপ্ন দেখতে থাকে ঐ শৈলচূড়ায় একদিন আমার উড়ান পতাকা উড়বেই। এই জেদ, এই মানসিক স্থিরতা তো বাবাই দিয়েছিলেন কবি ক্ষমা ভট্টাচার্য্যকে। সেই সাহসকথাই তো আজ কবিতার ছত্রে ছত্রে। কবিতার ছন্দে তাই মানবিক এক যোগ অভ্যাস জেগে উঠেছে শায়িত বৌদ্ধকে ঘিরে। কাঞ্চনজঙ্ঘার সাথে এসপ্লানেড এখানেই মিশেছে কবিতায়। সেই সব কবিতার পঙক্তি বুঝতে হলে পড়তেই হবে বইটি।
মৌলিক নিজের বই প্রকাশনা করা আসলে স্নিগ্ধ অনন্য এক ইচ্ছাশক্তি
মুসাফিরনামা
সুমিতা নাগ, সারাদিন অস্থির চাকরির ঘামকে ফোকাস করতে করতে। মনে রয়েছে শিশু হৃদয়। ভ্রমণ হৃদয়। খাদ্যরসিক চোখ। এক মায়ের আদর। সে সবই কেমন করে ছবি থেকে কবিতায় রূপান্তর করল বইটিকে তা বুঝতে হলে ছবি ও কবিতার মিশ্রণে তৈরি বইটিকে হাতে তুলে নিতেই হবে। অনেক স্বনামধন্য কবি ও অচেনা কবির কলমে এই বইটির পাতায় পাতায় এক ঋদ্ধতা উঠে এসেছে। সে সব জানতে হলে সুমিতা নাগের ছবি সম্বলিত বইটি যা দেবব্রত সান্যাল সম্পাদনা করে সাজিয়ে তুলেছেন, তা হাতে নিয়ে পড়তেই হবে।
কবিতা এলে জলে নামে পৃথিবী
জলে নেমেছে ডাঙায় থাকা জীব। তবে সে নামা তো অনেক পড়ে। আগে তো জলই ছিল। জলের ভিতরেই তো তখন লেখা হতো অজানা কাব্য। লেখা হতো অস্থির সময় দাঁড়িয়ে শব্দহীন আওয়াজ। তিমির শব্দে আজও সে সব উপলব্ধি হয়তো ভিন গ্রহের জীবেরা খুঁজে পায় সে সব। যাক সে কথা। আবার নতুন করে মানুষ বলে গর্ব করা মানুষের দল জলে নামছে। জলের গভীরতা থেকে কুমীর বা পিরানহাকে একটু বুঝে নিতে চাইছে। মানুষই পারবে সমস্ত সীমারেখা দূর করে বুঝে নিতে জীবনের নানা কথা। ভাস্কর পালের বইয়ের কবিতাগুলিকে স্পর্শ করলে বুঝতে পারবেন আপনি কোথায় বাস করছেন ২০২১ সালে। সময় এখন কতটা আপনার, আমার, সকলের। প্রচন্ড গভীর এত তত্ত্ব এই কবিতার সারণী বেয়ে আপনি উপলব্ধি করবেনই। আশা নয় দাবী রইল এই সময়ের কাছে…
যোগাযোগ করতে পারেন +91 8240536150 | মৌলিক লেখা বা বিজ্ঞাপনের জন্য মেল করুন help@ritujanpub.com