অক্সিজেন প্ল্যান্ট – অল্প কথায়

0

এপ্রিল মাসের শেষে অক্সিজেন সংকটের সামনে দাঁড়িয়ে সবাই অক্সিজেন প্ল্যান্টের সম্বন্ধে নানা কথা জানতে চাইছেন। তাই অল্প কথায় অক্সিজেন প্ল্যান্টের কথা জেনে নেওয়া যাক।
যে ছোট অক্সিজেন প্ল্যান্টের কথা আলোচিত হচ্ছে, সেটি পি এস এ বা প্রেসার সুইং অ্যাডসর্পশন মেডিক্যাল অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্ট।
বিষয়টি কী : যখন কোনও কঠিন পদার্থ তরল বা গ্যাসকে নিজের গায়ে আটকে নেয়, খুব সহজ ভাষায় তাকে বলে অ্যাডসর্পশন। এইসব প্ল্যান্ট নানা মাপের হতে পারে। এই পদ্ধতিতে নাইট্রোজেন গ্যাসকে বাতাসের থেকে আলাদা করে বাকি প্রধানত অক্সিজেন পাইপলাইনের ভিতর দিয়ে সরাসরি হাসপাতালের ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয়া যায় বা ঘনীভূত করে সিলিন্ডারে ভরে ফ্যালা যায়।
এই পদ্ধতিতে তৈরি চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত অক্সিজেন শতকরা ৯০ থেকে ৯৬ ভাগ থাকে শুদ্ধ থাকে। এই অক্সিজেন ক্রায়োজেনিক অক্সিজেনের চেয়ে কম পরিশুদ্ধ, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে এই অক্সিজেন অমৃত হয়ে দাঁড়াবে।
খরচ : এই প্ল্যান্টের উৎপাদন ক্ষমতা ১০০ থেকে ৩,২০০ লিটার প্রতি মিনিট হতে পারে। দু তিন সপ্তাহ সময়ে ৩৩ লক্ষ টাকা খরচে তৈরি প্ল্যান্ট দিনে ২৪ টি সিলিন্ডার অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারে। একটি ২৪০ শয্যা বিশিষ্ট (৪০ টি আই সি ইউ শয্যা) একটি হাসপাতালে মাসে ৫ লক্ষ টাকা মতো খরচ হয়। এই হাসপাতালের জন্য এমন একটা প্ল্যান্ট বসানোর খরচ পঞ্চাশ লক্ষ টাকার মতো।
আমাদের দেশে অক্সিজেন উৎপাদনের থেকে অক্সিজেন পরিবহনের সমস্যা অনেক ক্ষেত্রেই বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই নিজস্ব প্ল্যান্ট এই সমস্যার সমাধান করবে। তাছাড়া সিলিন্ডারের সমস্যা থাকবে না। তাছাড়া এই প্ল্যান্টের জন্য ৭ ফুট X ৯ ফুট X ৭ ফুট মতো জায়গা দরকার। ভারতে ভালো অক্সিজেন প্ল্যান্ট বানিয়ে দেবার কোম্পানির অভাব নেই, অভাব শুধু উদ্যোগের।

Leave a Reply

error: Content is protected !!